শ্বেতচক্র
শান্তনু দে
প্রচ্ছদ : শ্রীময় দাস
একটি মাইথোলজিকাল মিষ্ট্রি থ্রিলার
…একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ঘুমটা ভেঙে গেল আলোকবর্মণের। চোখ খুলেই ঘরের ভেতরের আলো আঁধারিতে বুঝতে পারল সূর্য অস্তাচলে গেছে, মুখের উপর ঝুঁকে আছে এই বিহারেরই এক বৌদ্ধ শ্রমণ— তপোনাথ। আলোকবর্মণকে চোখ খুলতে দেখে সে জিজ্ঞেস করল, “তুমি এখনো এখানে কী করছো? সকল শিক্ষার্থী এই স্থান পরিত্যাগ করেছে। আমরাও পালাচ্ছি। বাইরে হাজার হাজার বর্মাবৃত তুর্কি সেনা। তাদের কারো হাতে মশাল, কারো হাতে বল্লম, তির-ধনুক, ঢাল-তরোয়াল, ধ্বজাদণ্ড, কুঠার। আমাদের আটটি বিহারের অধিকাংশে তারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ধর্মকুঞ্জের গ্রন্থাগারগুলিতেও। আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট রইল না…”, বলতে বলতে তপোনাথের গলা ভিজে এল।
আলোকবর্মণ জিজ্ঞেস করল, “কোথায় পালাচ্ছে তোমরা? এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ জয়দেবের নাম শুনেছি। তিনি সকলকে আশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁরই আশ্রয়ে?”…
কণাদের বৈশেষিক দর্শনে অ্যাটমিক থিওরি, বরাহমিহিরের পঞ্চসিদ্ধান্তে অ্যাস্ট্রনমি কিংবা আর্যভট্টের আর্যভট্টিয়ামে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের মতই কি আলোকবর্মণের সূত্র ইতিহাসে স্থান করে নিতে পারত? প্রাচীন ভারতের গৌরবময় বিজ্ঞান সাধনার গল্প, বিশ্বাসঘাতকতার গল্প, প্রাচীন পাণ্ডুলিপির পাতায় জড়িয়ে থাকা রহস্যময় ইতিহাসের গল্প শান্তনু দে প্রণীত 'শ্বেতচক্র'।।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি