তপন চরিত
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ষাটের দশকের শুরুতে যখন টেনিদার জনপ্রিয়তা শীর্ষে তখন “দেশ” পত্রিকার সাগরময়বাবু বাবাকে তাঁর পত্রিকার জন্য বড়দের হাসির গল্প লিখতে বলেন। তখনই বাবা সৃষ্টি করেন তপন চৌধুরী চরিত্রটিকে। গল্পগুলির পটভূমিকা উত্তরবঙ্গের এক মফঃস্বল শহর। উত্তরবঙ্গের প্রতি বাবার একটা ভালোবাসা ছিল। তাঁর প্রথম চাকরি জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজে, আমার মামাবাড়িও সেই শহরেই। তপন চৌধুরীর মধ্যে আমার কোনও কোনও আত্মীয়ের খ্যাপামোর ছায়া দেখা যায়। লেখাগুলি “দেশ”-এ বেরিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। বাবার মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পর, ১৯৭৩-এর মার্চে, গল্পগুলি প্রথম গ্রন্থিত হয়। বইটি তখন জনপ্রিয় হলেও এখন বহুদিন তা পাওয়া যায় না। বইটির একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করছেন “নিউ স্ক্রিপ্ট”, তাঁদের জানাই ধন্যবাদ। আশা করি বইটি বর্তমান প্রজন্মের পাঠকদের ভালো লাগবে। _ অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় [১৯১৭-১৯৭০] : প্রথম জীবনে লিখতেন বড়দের জন্য; চল্লিশের দশকের শেষদিকে লিখতে শুরু করলেন ছোটদের জন্য । পঞ্চাশের মাঝামাঝি শিশুসাথীতে লিখলেন ছোটদের জমাটি উপন্যাস ‘চার মুর্তি’, যার নায়ক পটলডাঙ্গার টেনিদা ও তার তিন সঙ্গী । নানা ধরনের লেখা লিখতেন, ষাটের দশকে ‘দেশ’ পত্রিকাতে নিয়মিত লিখতেন “সুনন্দর জার্নাল” ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.