গোয়েন্দা গন্ডালু সমগ্র ১
নলিনী দাশ
“সন্দেশ” পত্রিকা পুনঃপ্রকাশের পর থেকেই লেখিকা নিয়মিত ছোটদের জন্য লিখতে শুরু করেন। ১৯৬৩ থেকে তিরিশ বছর তিনি কার্যতঃ “সন্দেশ”-এর নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন, যদিও পাকাপাকিভাবে তিনি সম্পাদক হ’ন ১৯৭৪-এ, সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর। তাঁর লেখা গোয়েন্দা গণ্ডালু রহস্যকাহিনীর জনপ্রিয়তা দেখে তিনি প্রতি বছর “সন্দেশ”-এর শারদীয়া সংখ্যায় গণ্ডালু উপন্যাস লিখতেন। সম্পূর্ণ গণ্ডালু গোয়েন্দা সমগ্রের কলেবর হবে প্রায় ৭৫০ পৃষ্ঠা, তাই এই সমগ্রটি দুই খণ্ডে প্রকাশিত হলো ।
নতুন পাঠকদের জন্য বলি, চারটি স্কুলের মেয়ে—কালু, মালু, টুলু ও বুলু একটি বোর্ডিং স্কুলের একই ক্লাসে পড়ে; ও হস্টেলের একই ঘরে থাকে। তারা রহস্য সমাধান করতে ভালোবাসে, আর তারা যেখানেই যায় সেখানেই তারা কোনও রহস্য খুঁজে বের করে তার সমাধান করে।
গণ্ডালুদের স্কুলের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছাকাছি এক কাল্পনিক অঞ্চলে। লেখিকার বাবা অরুণনাথ চক্রবর্তী লেখিকার ছেলেবেলায় (বিশেষত ১৯২০-এর দশকে) সরকারী কাজ করতেন হাজারিবাগ, ধানবাদ, গয়া ইত্যাদি ছোট ছোট টাউনে। হাজারিবাগ অঞ্চল লেখিকার বিশেষ প্রিয় ছিল। গণ্ডালুদের স্কুলের আশেপাশের ওই কাঞ্চনপুর-ঝাউতলা-দেওদারগঞ্জ অঞ্চলের বর্ণনায় ও ওদের বেড়াবার গল্পে লেখিকার ছেলেবেলায় হাজারিবাগ অঞ্চলে বেড়াবার আনন্দের অভিজ্ঞতার ছাপ পড়েছে।
নলিনী দাশ (১৯১৬-১৯৯৩)
তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী, তিরিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন ও অধ্যক্ষা ছিলেন । ৪০ ও ৫০এর দশকে খুদে গোয়েন্দাদের নিয়ে দুটি গল্প লেখেন । ১৯৬১তে সত্যজিতের “সন্দেশ”এ নিয়মিত গল্প লিখতে শুরু করেন । লিখেছেন বেশ কিছু রোমাঞ্চকর গল্প । তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় গোয়েন্দা গণ্ডালুর গল্প-উপন্যাস, চারটি স্কুলের ছাত্রী যাদের প্রত্যেকের ডাকনামের শেষ “লু” দিয়ে । মোট ২৯টি গণ্ডালু কাহিনী পরে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে । পরে তিনি ভাই সত্যজিতের ছেলেবেলার গল্প খুব সরস করে লেখেন । তিনি বিদ্যাসাগর পুরষ্কারও অর্জন করেন । তাঁর নাম “সন্দেশ”-এর যুগ্ম সম্পাদক ছিল প্রায় দুই দশক, যদিও এর আগে আরও এক দশক “সন্দেশ”-এর দপ্তর তাঁর বাড়িতেই ছিল ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.