থিয়েটার : মাইনোরিটি কালচার ! ও অন্যান্য প্রবন্ধ
লেখক - তীর্থঙ্কর চন্দ
প্রচ্ছদ শিল্পী - সুদীপ্ত জানা
সমস্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভেতর লুকিয়ে থাকা রাষ্ট্রের বিন্যাস, তার সমস্ত পথ-পদ্ধতি, আর এর ফলে ব্যক্তি বা একটা গোটা সমাজের ভেতর যে অনিশ্চয়তা, অসঙ্গতি প্রায় অনিবার্য হয়ে আসে, নাট্যচর্চায় স্পষ্ট করে দেখনোর কথা ছিল তা-ই। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই প্রদর্শন হবে নান্দনিকভাবে। 'আন্তিগোনে' বা 'রক্তকরবী' নাটক তো শুধুই কিছু চরিত্রের আনাগোনা, তাদের সুন্দর সাজানো সব সংলাপ বলা আর ব্যক্তিমানুষের টানাপোড়েনের এক শিকড়হীন বিবৃতি নয়। নাটক তার কাহিনী বিন্যাসের ভেতর দিয়ে আরও গভীরে নিয়ে যায় আমাদের বোধকে, আবেগের ভেতর দিয়ে স্পষ্ট করে তোলে আমাদের এই হীনভাবে বেঁচে থাকার উৎসস্থল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নাট্যচর্চাকারী দলেরা এই অসামান্য সব নাটকের চর্চা করতে করতে কীভাবে নিজেরাই এক একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে, ক্রেয়ন বা রাজা-র ভূমিকায় চলে যান বহু নাট্যদলপতি, যাঁরা এক সময় এইসব নাটকের অসামান্য বিশ্লেষণে সবাইকে নিয়ে মহত্তম সৃষ্টিতে মেতেছিলেন। তাঁদের এই নতুন চলাই এক সময় অনুজদের কাছে প্রশ্নাতীত হয়ে মান্যতা পেতে থাকে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই বদলের ভেতরেও রাষ্ট্রের একটা খেলা সতত কাজ করে চলে, একদা বিরোধী সমালোচনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির ভেতরেও রাষ্ট্র তার নিজের দর্শনটাকে খুব সূক্ষ্মভাবে চারিয়ে দেয়, এর পর আপাত বিরোধিতার কথা বলা হয় ঠিকই কিন্তু সেই সমাজ-চারণেরা প্রকৃতপক্ষে রাজার অস্তিত্বকেই আরও ঘোলাটে, ফলত আর শক্তপোক্ত করে তোলেন। বিরোধাভাস এইখানে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি