উত্তরবঙ্গের আদিবাসী
বিমলেন্দু মজুমদার
হিমশৃঙ্গ নগেন্দ্র সানুদেশে তরাই-ডুয়ার্সের দিগন্তস্পর্শী শ্যামলিমা, পর্বতগাত্র থেকে নেমে আসা সহস্র স্রোতস্বিনী, রৌদ্রের তুষারচুম্বনে ঠিকরে-পড়া হিরকপ্রভা, কোথাও আলোকশূন্য বনতল, এবং আরও কত ভিন্নতা মিলে উত্তরবঙ্গের অনন্য প্রকৃতি। এর চেয়েও বৈচিত্র্যময় তার লোক-সমাজ। এমন বিচিত্র লৌকিক-বিশ্ব বিরল। আর সেই লোকবৈভবে সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যপূর্ণ যোগদান এখানকার আদিবাসীদের। অথচ, তাঁদের জীবনযাপন, জীবিকা, সাংস্কৃতিক গড়ন সম্পর্কে অত্যুৎসাহী গবেষক সম্প্রদায়ের বাইরে তেমন কোনও আলোচনা নেই। 'উত্তরবঙ্গের আদিবাসী' দেশের এক সমৃদ্ধ লোকবিশ্বকে বাংলাভাষার পাঠকের কাছে তুলে ধরার জরুরি পদক্ষেপ।
লেখক পরিচিতি :
বিমলেন্দু মজুমদার, জন্ম ১৯৩৯ অবিভক্ত বাংলার নোয়াখালি জেলার রামানন্দপুর গ্রামে। বাংলাভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং 'টোটো' আদিম আদিবাসীদের আর্থসামাজিক পরিবর্তন বিষয়ে পিএইচ ডি। আদিবাসী সমাজের প্রতি তন্নিষ্ঠ থেকে সারা জীবন তাঁদের নিয়ে চর্চা করেছেন। আদিবাসী সমাজ-সংস্কৃতি-লোকজীবন নিয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দশ। বিভিন্ন পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি দ্বারা প্রদত্ত 'তাপসী বসু স্মারক পুরস্কার' (২০০৯) ও লোকসংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য, নাটক, সংগীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমি' কর্তৃক প্রদত্ত 'আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মারক আকাদেমি পুরস্কার' (২০১০-১১)।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি