হুমায়ুন কবীর
যুদ্ধ এবং প্রেম বসনিয়াতেই
১৯৮০ সালের মে মাসে ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোসেফ ব্রয় টিটোর মৃত্যুর পর এই দেশেরই একটি অংশ সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবদান মিলোসেভিচ এবং তার সহযোগীদের নেতৃত্বে অপর একটি অংশ বসনিয়া- হারজিগোভিনাতে ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ বাধল। ধর্মের নামে এথনিক ক্লিনজিং-এরমাধ্যমে আড়াই লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হল, লক্ষ লক্ষ নারীর সম্মান ভূলুণ্ঠিত হল, প্রায় দশ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হলেন। ১৯৯২ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়ে ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা বসনিয়ার এই গৃহযুদ্ধে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে কোনও যুদ্ধের চাইতে বেশি।
এত মানুষের প্রাণহানি, নারীদের সম্মান লুণ্ঠন, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা গণকবরের দেশ বসনিয়াতে আনন্দ, উল্লাস এবং নরনারীদের প্রেম-ভালোবাসা কিন্তু থেমে থাকেনি বরং উদ্দাম হয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে ওই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। প্রেম-ভালোবাসা, যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধবাজদের পরিণতি কী? ২০০১-২০০২ সালে সংযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের হয়ে বছরভর বসনিয়ার পুনর্গঠনের কাজে নিযুক্ত থেকে যে অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছে তারই প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাস।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি