বাঙালির ইতিহাসে এমন এক সময় এসেছিল, যখন বাংলার সংস্কৃতির আকাশে অসংখ্য নক্ষত্র। তাঁদের মধ্যে হেমেন্দ্রকুমার রায়ও ছিলেন অন্যতম। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, হেমেন্দ্রকুমার সঙ্গলাভ করেছিলেন সেই সব ব্যক্তিত্বের, যাঁদের অনেকেই আজ প্রাতঃস্মরণীয়। আবার সেই সঙ্গে এমন কিছু মানুষকেও তিনি দেখেছিলেন, যাঁরা স্বকালে খ্যাতিমান থাকলেও পরবর্তীতে বিস্মৃতির আড়ালে চলে গিয়েছেন। এঁদের সকলকে নিয়েই হেমেন্দ্রকুমার লিখেছিলেন তাঁর স্মৃতিকথা ‘যাঁদের দেখেছি’ (দুই খণ্ড) এবং ‘এখন যাঁদের দেখছি’। সেই সব গ্রন্থকে দু’মলাটের মধ্যে নিয়ে আসা হল এই বইতে। তার সঙ্গে রইল সমধর্মী অগ্রন্থিত কিছু রচনাও। সম্পাদক এই সব রচনা উদ্ধারের পাশাপাশি যোগ করেছেন টীকা, উল্লিখিত ব্যক্তিদের সচিত্র পরিচয়। রয়েছে একটি সুবিস্তৃত ভূমিকাও। এই বইয়ের আর এক সম্পদ হল, এখানে সন্নিবিষ্ট হেমেন্দ্রকুমারের স্বাক্ষরিত এক বিরল ফোটোগ্রাফ। এই গ্রন্থপাঠের অভিজ্ঞতা এক আশ্চর্য পুনর্যাত্রা। যে যাত্রায় কখনও পাঠককে সঙ্গ দেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ, তো কখনও রসরাজ অমৃতলাল। কখনও পাঠকের কাঁধে হাত রাখেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধযায়, প্রমথ চৌধুরী, তো কখনও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এই আলোর মিছিলে পাঠকের সঙ্গে শামিল শিশিরকুমার ভাদুড়ী থেকে কাজী নজরুল ইসলাম, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে স্যর যদুনাথ সরকারও। সব মিলিয়ে একে নিছক একটি গ্রন্থ বলা বোধহয় ঠিক হবে না। কালের যাত্রার ধ্বনিকে ধরে থাকা ৭০০-রও বেশি পৃষ্ঠার এই বই কার্যত একটি জাতির স্মৃতিযাত্রা।
সম্পাদনা: রাহুল সেন
প্রচ্ছদ: অরিন্দম নন্দী
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.