অবান্তর কথার ভিড়ে আছে
গোয়েন্দা কানাইচরণের শেষ কাহিনি
রাজর্ষি দাশ ভৌমিক
প্রচ্ছদ : পিনাকী দে
-----------------
নিরভানা রক্ষিত নিরুদ্দেশ হয়েছেন। কে নিরভানা? আপনারা নিশ্চয় জানেন না। তাতে কী! এবার জেনে যাবেন। নিরভানার বাবা পরীক্ষিৎ রক্ষিত। এবার চিনতে পারছেন আশা করি। হ্যাঁ, তিনিই, বিখ্যাত গায়ক। লালবাজারে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন। নিরভানার ফোনের লোকেশন দেখাচ্ছে বর্ধমানের কোনো গ্রামে। স্ট্যাটিক লোকেশন। কানাইচরণ অনুমান করছেন ফোনের সঙ্গে নিরভানা নেই। নিরভানার সঙ্গে নিখোঁজ তার পুরুষ বন্ধু! এ কি শীতকালে নিছক দুই নারী-পুরুষের অনির্দেশ্যে হারিয়ে যাওয়া, নাকি অচিরে জটিল হয়ে উঠবে সবকিছু, শীতসন্ধের সোডিয়াম ল্যাম্পের আলো আর কুয়াশায় মিশে থাকা কলকাতার অলিগলির মতো?
বড়োবাজারের হোটেল ‘রিবারা’ থেকে উদ্ধার হয় নিরভানার সঙ্গী তনুময়ের দেহ! পুলিশ বুঝতে পারে না আত্মহত্যা না খুন! সিসিটিভিতে দেখা যায় নিরভানা হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই সিসিটিভি যেন গোটা শহর জুড়ে সহস্র চোখ ছড়িয়ে রেখেছে। নিরভানার হারিয়ে যাওয়ার পথটি অনুসরণ করে কানাই, সৌভিক ও করতোয়া চলে যাচ্ছেন কলকাতার পাতালে, মানিকতলার সাট্টার ঠেক থেকে এন্টালির ঘুপচি ভাড়া বাড়ি, ধর্মতলার বাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের গুমটিতে। শীতকালের উচ্ছ্বাস ও উল্লাসের নীচে মলিন-বিবর্ণ-ধূসর শহর। কথার পিঠে কথা চাপছে এই কাহিনিতে; প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় ও অবান্তর কথার মধ্যে থেকে কানাইদের তুলে নিতে হবে জরুরি তথ্যটুকু, শীতের কুয়াশা সবকিছু গ্রাস করার আগেই।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি