আবার এসো ফিরে
রামেশ্বর দত্ত
বইয়ের কথা:
কলকাতার ভাড়া বাড়িতে ঈশ্বরচন্দ্রের মাথায় নিজের ভাই সহ ন’জনের ভরণ পোষণের দায়িত্ব। সংস্কৃত কলেজে চাকরি করছেন তিনি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা হল না। অতএব কাজে ইস্তফা দেবেন। অথচ আজীবন মাতৃস্তক্ত ঈশ্বরচন্দ্র মাকে না জানিয়ে কাজটা করতে পারছেন না। আতি নিয়ে ছুটে গেলেন বীরসিংহ গ্রামে মা, ভগবতীদেবীর কাছে। সেখানে গিয়ে জানলেন স্ত্রী অসুস্থ। মাকে নিজের কথা বলতে গেলেন। মা বললেন, বাবা ঈশ্বর, তোমার কথা অবশ্যই শুনব। তবে পরে। আগে দীনময়ীকে সুস্থ করে তোলা আমার কাজ… বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরুষকারের জীবনের এটি একটি মাত্র ঘটনার গল্প। এরকমই তাঁর জীবনকালের (১৮২০-১৮৯১) যৌবন থেকে শেষাবধি বিভিন্ন পর্যায়ের বিবিধ ঘটনাবলী নিয়ে লেখক গল্প শুনিয়েছেন তাঁর প্রথম মৌলিক রচনা ‘আবার এসো ফিরে’ উপন্যাসে। তা করতে গিয়ে লেখককে সেই সময়ের ঐতিহাসিক চরিত্র মাইকেল, বেথুন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, তৎকালীন ইংরেজ বড়লাট, ছোটলাট, ভগবতীদেবী (মাতা), দীনময়ীদেবী (স্ত্রী) ও আরও অনেকের নাম অবিকৃত রেখে লেখায় ব্যবহার করতে হয়েছে। উপন্যাস রচনায় লেখকের স্বাধীনতা নিয়ে নানান ঘটনা গল্পের আকারে শুনিয়েছেন; যা কিনা গবেষক, জীবনীকারদের নিষ্প্রাণ রচনা। থেকে ভিন্নতা পেয়ে লেখায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এ গ্রন্থের স্থায়ী কীর্তি মূল্যের কথা স্মরণে রেখে নৈর্ঋত প্রকাশনের এ এক শ্রদ্ধাঞ্জলি।
লেখক পরিচিতি:
রামেশ্বর দত্তের জন্ম কলকাতায়। কৈশোর, যৌবন কেটেছে কলকাতা বসবাসে। মাঝে জীবনের ত্রিশটা বছর মহারাষ্ট্রের নাগপুর, চন্দ্রপুরকে কেন্দ্র করে চাকরী সূত্রে বসবাস। বর্তমানে স্থায়ী কলকাতাবাসী। সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ বাল্যকাল থেকেই। নানান পত্র পত্রিকায় বহু লেখা প্রকাশিত হয়ে থাকে। প্রথম লেখা উপন্যাস, ‘বৃত্ত, ২০১৭ সালে ‘বিভূতিভূষণ স্মৃতি’ পুরস্কারে সম্মনিত। প্রকাশিত উপন্যাস ‘অন্য বৃত্ত’, ‘একজোড়া উপন্যাস’, ‘জানার মাঝে অজানারে, ইংরেজি Long gone the wind: 1947-71 in Bengal & Usha the Girl’, জীবনী ভিত্তিক; ‘প্রসঙ্গঃ শ্রী অরবিন্দ ও শ্রী মা’, রহস্য ‘পিনাকী রহস্য’ ও ছোটগল্প সঙ্কলন ‘সুখ সকালের আশায়’। প্রিয় লেখক- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, আশাপূর্ণা দেবী। শখ-অজানা বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.