শূন্যকাননের ফুল
তৃষ্ণা বসাক
বইয়ের কথা :
জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং-র যথেচ্ছ প্রয়োগ করে হাঁসজারু বা বকচ্ছপ সৃষ্টি অসম্ভব থাকবে না আর, মানুষ ক্লোনিং অবাধ হলে কী কাণ্ড যে ঘটবে, তা কল্পনা করতেও ভয় করে। পালটে যাবে প্রেম ও যৌনতার খোলনলচে, যন্ত্র হয়ে উঠবে মানুষের বিকল্প, এদিকে মানুষ আরও বেশি যান্ত্রিক হয়ে যাবে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের ছবি কল্পনায় আঁকলে, সে কল্পনার মালমশলা বিজ্ঞান প্রযুক্তির ফিউচার ফোরকাস্ট থেকেই সংগ্রহ করতে হবে। ‘আদর ৩০৩০’, ‘লোলা, লীলা, সিস আর যে আসছে’, ‘বিদায় অভিশাপ রিটার্ন’ ‘সামান্থা ও সিদ্ধেশ’- এমন সব কল্পগল্প ও একটি দুর্দান্ত নভেলা নিয়ে সাজানো এই সংকলন পাঠকের মন জয় করবেই।
লেখক পরিচিতি :
তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী অনুবাদকর্মে তিনি প্রতি মুহুর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। জন্ম কলকাতায়। শৈশবে নাটক দিয়ে লেখালেখির শুরু, প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘সামগন্ধ রক্তের ভিতরে’, দেশ, ১৯৯২। প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘আবার অমল’ রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯৯৫। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.ই. ও এম.টেক তৃষ্ণা পূর্ণসময়ের সাহিত্যকর্মের টানে ছেড়েছেন লোভনীয় অর্থকরী বহু পেশা। সরকারি মুদ্রণ সংস্থায় প্রশাসনিক পদ, উপদেষ্টা বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শী অধ্যাপনা, সাহিত্য আকাদেমিতে আঞ্চলিক ভাষায় অভিধান প্রকল্পের দায়িত্বভার-প্রভৃতি বিচিত্র অভিজ্ঞতা তাঁর লেখনীকে এক বিশেষ স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- সাহিত্য আকাদেমি ভ্রমণ অনুদান ২০০৮, পূর্ণেন্দু ভৌমিক স্মৃতি পুরস্কার ২০১২, সম্বিত সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩, কবি অমিতেশ মাইতি স্মৃতি সাহিত্য সম্মান ২০১৩, ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার (বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ) ২০১৩, ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫, সোমেন চন্দ স্মারক সম্মান (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি) ২০১৮, সাহিত্য কৃতি সম্মান (কারিগর) ২০১৯, কবি মৃত্যুঞ্জয় সেন স্মারক ২০২০, নমিতা চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মান, ২০২০ ও অন্যান্য আরো পুরস্কার। বর্তমানে কলকাতা ট্রান্সলেটরস ফোরামের সচিব।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.