ভাসান শেষে দাহন
গোপাল মিস্ত্রি
বইয়ের কথা :
কিশোর বেলায় কেউ প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিবেশী, স্কুল বা টিউটোরিালের সহপাঠী, কিংবা হয়তো কোনও দূর সম্পর্কের কোনও আত্মীয়কেই আচম্বিতে ভালো লেগে যায়। কিশোর মনে প্রেমের অঙ্কুরোাম হয়। হয়তো তার কচিপাতাগুলো অচিরেই শুকিয়ে যায়। অথবা হয়তো সেই ভালোলাগার কথাটুকু তাকে আর বলা হয়ে ওঠে না। সেই অব্যক্ত প্রেমের কথা নিয়ে গড়ে ওঠে এক একটি কাহিনি। এতদিন যা অবচেতনে ঘুমিয়ে ছিল, হঠাৎ কোনও অনুষঙ্গ মনকে নাড়া দেয়। কখনও মধ্য বয়সে এসে ফিরে দেখতে ইচ্ছে করে সেদিনের সেই কিছু না বলা কিশোরীটি কেমন আছে। মনে রেখেছে কি তার কথা। অথবা বহুদিন পর একবার ফিরে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, আমি তোকে ভালোবাসি। কিন্তু স্রোতে ভেসে যাওয়া সময় যে তা আর বলার সুযোগ দেয় না। কিংবা কখনও শুধু নীরবে ভালোবেসে দূরে সরে যেতে হয় সামাজিকতার কঠোর অনুশাসনে। আবার কেউ না বলা ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলার আকুলতায় ছুটে যায় শতযোজন। পূর্ণতার অপেক্ষা করে। ভাসান, স্রোতের শ্যাওলা, অন্যপর্ব আর আধখানা চাঁদ এমনই এক একটি আখ্যান। সবশেষে দাহন এক কিশোর মনের গল্প যেখানে প্রেম চাপা পড়েছে আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্বে। এমনই পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের উপন্যাস নিয়ে এই সংকলন।
লেখক পরিচিতি :
জন্ম ২৬ মে ১৯৬৩। ছোটবেলাতেই সাহিত্য চর্চায় হাতেখড়ি। পাঠ্যপুস্তকের সাহিত্য সম্ভারই তাঁর লেখালেখির অনুপ্রেরণা। শুরু হয় কবিতা দিয়ে। বিক্ষিপ্তভাবে দু’একটি লেখা লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশ। আশির দশকের গোড়ায় নিজেও দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। যদিও পরবর্তীকালে পেশাগত কারণে সেই চর্চায় ছেদ পড়ে। প্রায় পঁচিশ বছর পর মনের খিদে মেটাতে আবার লিখতে বসা। সাংবাদিকতা পেশায় দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের কর্মজীবনে বহু অভিজ্ঞতায় ভরা তাঁর ঝুলি। বিটিত্র মানুষ দেখেছেন যারা তাঁর লেখার চরিত্র হয়ে উঠেছে। খবরের ভিতরেও খুঁজে পেয়েছেন তাঁর গল্পের চরিত্রদের। তাই সাহিত্যচর্চায় কল্পনার চেয়ে বেশি বাস্তব জীবনের আনন্দ বেদনার ছবি ফুটে ওঠে তাঁর প্রতিটি লেখায়। জীবনের গল্প বলতেই পছন্দ করেন লেখক।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.