আচার্য ও তার অলীক পাণ্ডুলিপি
স্বকৃত নোমান
এই উপন্যাস পড়ে পাঠকেরা চমকে উঠবেন। পাঠকদের একদল উপন্যাসের গূঢ়ার্থ বুঝতে পারবেন। বিস্ময়ে বলবেন, আরে! এ তো বাস্তব! মীর আসরার জামান, অনন্ত আতিক, রাফিদা জাহান কিংবা ফতেহ উদ্দিন রাশাকে তো আমরা চিনি। আমরা তো চিনি বকুল রাশা এবং মাসুদ হাসান আরজুকেও। ‘মৎস্যগন্ধা’ আখ্যানে তো পড়েছি জায়মনের কথা, যে কিনা নিশিরাতে নিরালা বিলে শিকারে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় দেখতে পায় পূর্বপুরুষদের, যারা গন্ধবোয়াল শিকারের আশায় কোশা ভাসিয়ে রেখেছে বিজলি গাঙের বুকে। এই উপন্যাস একদল পাঠকের অবোধ্য থেকে যাবে। তারা পাঠানন্দ লাভ করবেন বটে, কিন্তু আখ্যানের নিগূঢ় বার্তা তাদের কাছে থেকে যাবে অধরা। তারা বলবেন, এ কী করে সম্ভব! কীভাবে অগণন নক্ষত্রের সম্মিলনে সৃষ্ট ছায়াপথের কুণ্ডলকেন্দ্র থেকে নিঃসীম শূন্যতায় বেরিয়ে আসে আচার্য মীর আসরার জামানের মুখ! অপরদিকে, আরেকদল পাঠক পাবেন প্রকৃত শিল্পস্বাদ। তারা বলবেন, এমন উপন্যাস সাম্প্রতিকালে বেশি লেখা হয়নি। উপন্যাসের প্রকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন কথাশিল্পী স্বকৃত নোমান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.