অলীক পান্থর বন বাংলো
সায়ন্তন ঠাকুর
এই বই অরণ্য ভ্রমণের নির্দেশিকা অথবা বনবাংলোর ইতিবৃত্ত নয়, লেখক অরণ্যচারী ‘অলীক পান্থদের’ আখ্যান লিখতে চেয়েছেন আর সেই লেখার চালচিত্র হয়ে ফুটে উঠেছে অরণ্য এবং বনবাংলো। কেন তাঁরা অলীক পান্থ? কারণ এই মায়াভুবনে মানুষের সংসারে তাঁদের ঠাঁই হয় নাই, গহিন অরণ্যে সুঁড়িপথের দুপাশেই গড়ে উঠেছে সেইসব বনসখাদের কল্পনার বসতবাটী, পুটুস ঝোপের উপর ধুলাপথে লেখা হয়েছে তাঁদের নিবিড় অরণ্য প্রণয়কথা, বিকিকিনির ভবহাটে কেউ বুঝতে পারেনি সেই আখ্যান, অলীক পান্থর মতোই তাঁরা একদিন ফিরে গেছেন নিজ ভুবনে। সেই পথের ধারে কান পাতলে শোনা যাবে বনবাঁশির সুর, কুসুমবাতাস ফিসফিস করে আজও একাকী নিঃসঙ্গ বনচারীকে যেন বলে চলেছে,এসো তোমাকে অরণ্য কথা কইব বলেই তো আমরা নষ্ট হয়ে যাইনি,ওই দ্যাখো অদূরে জ্বলে উঠেছে পুরাতন বনবাংলোর আলো, এসো, রাত্রি-জোৎস্নায় আঁচল বিছিয়ে বসে রয়েছেন স্বয়ং বনদেবী, তোমার জন্যই তো এত আয়োজন!
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.