অমৃতের পুত্রকন্যা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আধুনিক কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নামই সর্বাগ্রে মনে পড়ে, বিষয়কে বর্ণময় ও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে যিনি অক্লান্তকর্মা। তরুণ-তরুণীর হৃদয়ের অলিগলি যাঁর নখদর্পণে, গত শতকের পটভূমিকায় যিনি লেখেন 'সেই সময়', বিপ্লবীদের নিয়ে যাঁর কলমে জীবন্ত হয়ে ওঠে 'ছবির মানুষ', জাতকের নতুন অধ্যায় যাঁর হাতে 'নবজাতক', নতুন করে যিনি তুলে ধরেন 'রাধাকৃষ্ণ'র মতো চিরায়ত কাহিনি, একমাত্র তাঁর পক্ষেই বুঝি সম্ভবপর ছিল 'অমৃতের পুত্রকন্যা'র মতো অসামান্য কাহিনি উপহার দেওয়া। কী বলব এ-কাহিনিকে? কল্পবিজ্ঞান? কিছুটা হয়তো তাই। কেননা, এ-উপন্যাসের ঘটনাকাল ১৯৯৮ সাল। এক নির্জন দ্বীপে একে-একে পাঠানো হচ্ছে স্মৃতিহীন কয়েকজন মানুষকে, আর মহাকাশযানে বসে ছবির পর্দায় কয়েকজন বিজ্ঞানী ও গবেষক প্রত্যক্ষ করছেন। তাদের আচার-আচরণ, বেঁচে থাকার, টিকে থাকার সংগ্রাম। এ যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে নতন উৎকণ্ঠা ও রোমাঞ্চময় এক পরীক্ষা। এই রোমাঞ্চ এবং উৎকণ্ঠা এ-কাহিনির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি