বোতামঘর
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
ছোট্ট এক টেলারিঙের দোকানে বসে জামার বোতামঘর তৈরি করে মুসাফির। আর বিকেলের দিকে লেকে যায় মাঝে মাঝে। সেখানেই দুই ভাই সৌরসেন আর অঞ্জলকে দেখে। অঞ্জল বা জুলুর চোখ দিয়েই আমরা এই গল্পের একটা দিক দেখি। দেখি উনিশশো তিরাশি সালে সৌরর গল্প। তাকে নায়কের মতো দেখে সবাই। আবার অন্যদিকে আমরা দেখি আরেকটি মেয়ের গল্প। বেলা। বেলা পছন্দ করে জুলুকে। কিন্তু বলতে পারে না। পরের বাড়িতে আশ্রিতার জীবনের নানা কষ্ট নিয়েও জীবনে উঠে দাঁড়াতে চায় সে। আর এর মধ্যে এসে পড়ে শ্বেতলানা, বুচা, রামবচনদাদু, গুন্ডাদা, ওপা আর আলোজেঠুর মতো নানান চরিত্র! তারা জড়িয়ে যায় একে অপরের সঙ্গে। সৌর ভালবাসে একজনকে। আর সৌরকে চায় অন্য একজন! জুলুও জড়িয়ে পড়ে এর মধ্যে। তৈরি হয় জটিলতা। তারপর আসে তিরাশির ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই রাত! আর গল্প ঘুরে যায় সম্পূর্ণ অন্যদিকে! গল্পের দ্বিতীয় ভাগ আসে বর্তমান সময়ে আর সেখানে অবশেষে মীমাংসা হয় সব অন্যায়ের। এক কষ্টের অন্ধকার থেকে ভালবাসার আলোয় পৌঁছয় ‘বোতামঘর’। আর জানায় মানুষের প্রকৃত জীবন আসলে ভালবাসার বিভিন্ন মূহূর্তেরই সমষ্টি মাত্র।