অন্ধকারের গল্প
অভীক সরকার
ড্রাগনটাকে প্রথম দেখা যায় শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে। নেতাজির কাঁধের ওপর বসেছিল।
ননীগোপাল সাহার হোলসেল দোকানের উল্টোদিকে যে বাংলা আর অন্যান্য দেশী মদের ঠেক আছে তাতে মাঝরাত অবধি বেহুদা বাওয়াল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ঠেকটা অবশ্য শিউপ্রসাদের, আর দোকানের পিছনেই তার থাকার ঘর। দুপুর থেকে দোকানের সামনেটা রাজ্যের মুটে মজুর কুলি কামিনে ভর্তি হয়ে থাকে। রাত বাড়লে এদের সঙ্গে যোগ দেয় দূরপাল্লার ট্রাক ড্রাইভার, চোর, চিটিংবাজ, রিটায়ার্ড গরীব শিক্ষক, আর যত রাজ্যের মেয়ের দালাল। জায়গাটা তখন ভিড়ে, খিস্তিতে নরক গুলজার হয়ে থাকে। যত রাত বাড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নেশা আর মাতলামি। দোকানের সামনেই তিরতির করে বয়ে যাওয়া খোলা নর্দমার পাশেই ব্রিটিশ আমলের একটা বন্ধ্যা জলের কল আছে। বিকেল থেকে রাত দশটা অবধি তারই সামনে একটা ডালা নিয়ে উবু হয়ে ঠায় বসে থাকে মঞ্জুরা বেওয়া। কেরোসিনের কুপি জ্বলতে থাকে পুরোদমে আর তার কালো ধোঁয়ার মধ্যে ডালায় শুয়ে থাকে ফুলুরি, চপ, ঠান্ডা ডাল বড়া, শুকনো লঙ্কা ভাজা, সিদ্ধ কাবলি ছোলা আর মুরগির মাথা ভাজা। নেশার ঘোরে ডালার পর ডালা উড়ে যায়। লোকজন চাট কেনার অছিলায় মঞ্জুরাকে ঘিরে দেখতে থাকে তার থাই আর দাবনা, চোখ দিয়ে চেটে...
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি