অ্যাসফল্টের ইস্তেহারে অভিজ্ঞানের শেষ বিন্দু
অলকানন্দা গোস্বামী
সন্ধানী
দৃপ্ত মুখর অসীমের দিক্চক্রবালে রৌদ্রময় কাণ্ডারীরা রোজ অর্ঘ্য রেখে যায়
অভিজ্ঞানের প্রোজ্জ্বল মৃগনাভি, আভা ছড়ায় দ্যুতিময় আত্মা
ক্লেদ বড়ো ঊর্ধ্বগামী, যত ভাল্ভ একমুখী ছিল, সব উলটোদিকে খুলে আসে বমনের বেগে, ঊর্ধ্বগামিতা উর্বর হয় না, উণ্মার্গগামিতার সংকলন হয়ে ওঠে–
প্রতিবিম্বেরা মুখ লুকোয় দু-হাতে মায়া আয়নার ভিতরে আলুথালু অবিমৃশ্যকারিতায়
যেসব মৃতেরা প্রিয় ছিলে আমার, তারা জানো কি চাঁদগুলো অবলুপ্ত হয়ে গেছে কিনা?
বীরভোগ্যা হয়নি মহাপ্রাণ দাস্যেরা
অমিতাচারী গথিক উপন্যাসেরা কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠেনি
ঝাড়বাতির আলোর নীচেই বাবুবিলাস, মন্দিরে অনাহূত তুমি, হে মোর সভ্যতা!
কৃতজ্ঞ থাকি রোজ পানপেয়ালায় চুমুক দিতে পেরে, সাজিয়ে তুলি রোজকার তৃষা
ফাঁকা হয়ে যাওয়া পকেটে সস্তার হাটবারে কিনে আনি আনি অমৃতভাণ্ড এক।