শূন্যে শূন্য মিলাইল
লেখক - সোহম দাশগুপ্ত
প্রচ্ছদ- অক্ষর সংলাপ প্রিন্টিংস ঝঝ
নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি নাহি শশাঙ্ক সুন্দর,
ভাসে ব্যোমে ছায়াসম ছবি বিশ্বচরাচর…
বহে মাত্র ‘আমি আমি’— এই ধারা অনুক্ষণ॥
সে ধারাও বদ্ধ হল,
শূন্যে শূন্য মিলাইল,
স্বামীজি বিরোচিত এই ‘সমাধি’-তে যেমন আছে মুণ্ডক উপনিষদের দার্শনিক নির্যাস, তেমনই রয়েছে বৌদ্ধ মহাযানপন্থী শূন্যদর্শন বা নাগার্জুনের মধ্যমককারিকার দার্শনিক নির্যাসও।
যৎ শূন্যবাদিনং শূণ্যং ব্রহ্ম ব্রহ্মবিদাং চ যৎ।।
যিনি শূন্যবাদীর শূন্য,
তিনিই ব্রহ্মবাদীর ব্রহ্ম।
এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য ভারতীয় দর্শনের অমৃত সমান এই অন্তিম নৈতিক সিদ্ধান্তটিই। যা আদতে অবাঙ্মনসগোচরম্। কিন্তু যুক্তির দ্বারা সেই মহাপূর্ণশূন্যের মুক্তির সিদ্ধান্তে প্রমাণ সহ উপনীত হতে নির্বাণকে পার হতে হয়েছে ইউরোপীয় ও ভারতীয় দর্শনের যুক্তিতর্কের নানান রুক্ষ জ্ঞানপথ। যে অন্বেষণের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত চিন্তাপ্রেমী অভিযাত্রীটির বিশ্বস্ত সাথি ও সারথি ছিল বিমূর্ত গণিততত্ত্ব।
️
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি