অতীতের তীর হতে
শক্তিপদ রাজগুরুর শেষতম উপন্যাস।
কথাসাহিত্যিক শক্তিপদ রাজগুরুর এটি শেষতম উপন্যাস। চলে যাওয়ার আগে হয়তো শুনেছিলেন নিজের শেষ বিদায়ের ডাক। তাই এই উপন্যাসে রেখে গেলেন নিজেরই আত্মজৈবনিক কাহিনী। উপন্যাসের নায়ক কে? সমীরের ভিতর তো লেখকেরই self projection। বাঁকুড়ার তামলিবাঁধ আর দধীপুরাকে কেন্দ্র করে সমীরের বেড়ে ওঠা এবং মুর্শিদাবাদের পাঁচপুর হয়ে ভগবানগোলা এবং তারপরেও তামলিবাঁধে ফেরা। অতঃপর কলকাতার বুকে কী ভয়ংকর জীবন যন্ত্রণার মুখোমুখি হয় সমীর। তবু কি সে থেমে যায়! না, বাধার পর্বত ঠেলে এগোতে হয় তাকে। সব কিছুকে তুচ্ছ করে সমীর একটু একটু করে প্রতিষ্ঠা করে তার সংসারকে। পথ চলতে গিয়েই জীবনে আসে প্রেম। সীমা ও সমীর উন্মুক্ত আকাশকে সাক্ষী রাখে তাদের ভালোবাসার। অথচ সেই প্রেমও ভেঙে যায় আর তারপরেও এগিয়ে চলে জীবন। সমীরের জীবনে আসে রাণু নামের আরেক নারী। যাদের জন্য সমীরের এতখানি ত্যাগ তিতিক্ষা তাদের কিন্তু সে এক করে রাখতে চেয়েও পা্রে না। সাহিত্যিক সমীরের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লেও তার অন্তরখানি হয়ে যায় শূন্য। সমীরের জীবন সংগ্রামের এক একটি পর্যায় লেখক তাঁর আত্মজীবনের ধাঁচেই আমাদের উপহার দিয়ে গেলেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি