সওদাগর
সমরেশ বসু
প্রচ্ছদ কৌশিক দত্ত
দেশভাগের প্রেক্ষাপটে লেখা সমরেশ বসুর এক অনবদ্য উপন্যাস সওদাগর। উপন্যাসটির প্রথম প্রকাশকাল ১৯৫৬। দেশভাগের আগে এবং অব্যবহিত পরবর্তীকালে সমাজ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এক ব্যক্তির উত্থান পতন জনিত ইতিকথা কাহিনীর আলোকে এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে। দেশভাগ পরবর্তী সময়ে পূর্ববঙ্গের বহু ব্যবসায়ী সাহা-সম্প্রদায় পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটি অঞ্চলে চলে এসেছে। নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশন ও রেল কলোনিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে উদ্বাস্তু বসতি। এখানে সমরেশও ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছেন একথা আমরা সকলেই জানি। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মেঘনাথ। মেঘু ভাবে সে হবে ধনপতি
সওদাগর। সপ্তডিঙা তার বদর বদর করে খাল নালা নদ নদী পেরিয়ে পাড়ি দেবে অকূল সমুদ্রে। পৃথিবীর হাটে হাটে বাণিজ্য করবে সে। লক্ষণ সার গদিতে চাকর খাটতে খাটতে দিবারাত্র এই স্বপ্নই দেখেছে মেঘু। এরপর অনেক কষ্ট করে একটু একটু করে ব্যবসা দাঁড় করালেও দেশভাগের অভিঘাত সব ভেঙেচুরে দেয়।
উপন্যাসটি তিন ভাগে বিভক্ত। ফেলে আসা দিন, নয়া পাড়ি ও দিকশূল। লেখক একদিকে ধনপতি সওদাগর অর্থাৎ চণ্ডীমঙ্গলের লৌকিক পরম্পরাকে ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে একই সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছেন মনসামঙ্গল এর চাঁদ সওদাগর ও দেবী মনসার মিথ কে। দেশভাগের জন্য মেঘনাদ কে তার জন্মভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল জীবন ও জীবিকার তাগিদে। একদিকে জীবিকার লড়াই অন্যদিকে দাম্পত্য ও প্রেমের লড়াই।
কাহিনীর অলিন্দে অনেক চরিত্র ও ঘটনার সমাবেশ। একদিকে চটকল শ্রমিক, কারখানা অন্যদিকে মেঘনাদের বেকারি ব্যবসা সমস্তটা এই তিন পর্বের বিশাল মহাকাব্যিক উপন্যাসের আঙ্গিকে এক ভিন্ন মাত্রা পায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.