দশটি উপন্যাস
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ---সুব্রত চৌধুরী
বাংলা সাহিত্যে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সৃষ্টি মুহূর্ত থেকে শুরু করে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয় কথাশিল্পী। ১৯৫৬ সাল থেকে লেখালেখির সূত্রপাত। তাঁর এই দীর্ঘ সাহিত্য জীবনের বিভিন্ন সময়ে লেখা প্রতিনিধিমূলক দশটি উপন্যাস এই গ্রন্থে পরিবেশিত হয়েছে।
এই সমগ্র গ্রন্থে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়, বিভিন্ন চরিত্র, বিভিন্ন স্থান ও কালের সমন্বয়ে উজ্জ্বল দশটি উপন্যাস। যেমন "মরু" উপন্যাসের বিষয় শৈশব কৈশোরের মধুমাখা স্মৃতি দিয়ে ঘেরা, "নগ্ন ঈশ্বর" উপন্যাসে জাহাজী চরিত্রের উন্মোচন। বন্দরে বন্দরে জাহাজী মানুষের প্রেম ও যন্ত্রণা উপন্যাসটিকে দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা। "সাদা জ্যোৎস্না" এক নারীর প্রেমে ব্যর্থতা ও জিঘাংসার ট্রাজেডি। "পিপাসা"য় মানব মানবীর সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণ। "যুবতী পরম রূপবতী" উপন্যাস একটি নারীর কেন্দ্রে দুই পুরুষের কাহিনী। ভয়ংকর দুর্ঘটনার পর এক যুবকের অপ্রকৃতিস্থ অবস্থার রূপান্তর "সব ফুল কিনে নাও" উপন্যাস। "সহেলি" উপন্যাসে আছে কৈশোরের স্বপ্ন, প্রেম ও সাহস। "ভালোবাসা যারে কয়" উপন্যাসে দেখা যায় নারীর ভালোবাসা অকথিত থেকে যায়--তারই অভিমান ভরা প্রতিবেদন। "জীবন বড় ভারবাহী জন্তু" উপন্যাসটি আগাগোড়া মানুষের অন্তর ব্যবচ্ছেদের কাহিনী। মানুষের বাইরেটা সুন্দর। কিন্তু ভিতরে অজগর সাপের বাস। জটিল, কুটিল সংসারে তার ইচ্ছে অনিচ্ছের দ্বন্দ্বই উপন্যাসের বিষয়। "সুখী রাজপুত্র" নকশাল আন্দোলনের প্রক্ষাপটে রচিত এক ব্যতিক্রমী উপন্যাস। আন্দোলনের পাশাপাশি ব্যক্তি মানুষের এক একটি মর্মান্তিক কাহিনী পাঠককে বিচলিত করে তুলতে পারে।
লেখক হিসেবে অতীন বন্দ্যপাধ্যায়ের লেখার সমস্ত বৈশিষ্ট্য গুলিই ছড়িয়ে আছে উপন্যাস গুলিতে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি