বই - আতসকাচে ফেলুদা
লেখক - প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
আসল ব্যাপার হল প্রথম গল্পের ফেলুকে পাঠকের কাছে খুব সিরিয়াস নয়, এমন এক সখের গোয়েন্দা হিসেবে হাজির করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।এ ব্যাপারে প্রফেস ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর সঙ্গে প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর প্রদোষ সি. মিটারের অদ্ভুত মিল। প্রথমদিকে শঙ্কুকেও মনে হত কমিক্যাল চরিত্র। তাঁর রকেট এসে পড়ে অবিনাশবাবুর মুলোর ক্ষেতে। তিনি আয়নার সামনে ক্যালেন্ডার টাঙিয়ে রাখেন। আবার কাউকে জব্দ করতে নিজের আবিষ্কার নস্যাস্ত্র প্রয়ােগ করেন। এই শঙ্কুকেও কিন্তু পরে ঋষিসুলভ স্থৈর্যের অধিকারী এক মহাবিজ্ঞানী হিসেবে দেখা গিয়েছিল। যেমন প্রদোষচন্দ্র ওরফে ফেলু মিটারকে ক্রমশ বদলে ফেলে ‘গ্যাংটকে গণ্ডগোল’-এর সময় পেশ করা হল তুখোড় গোয়েন্দা হিসেবে।
শার্লক হোমস যাকে ‘ডিডাকশন’ বলতেন, সেই কায়দায় অনেক কথা ফেলু বলে দিতে পারতো সেই প্রথম গল্প থেকেই। একদিন ম্যালে গিয়ে তোপসে কোন দিকের বেঞ্চে বসেছিল, সেটা ফেলু বলে দিয়েছিল একবারে শার্লক হোমসের মতোই। এই ব্যাপারটা ফেলুকে পরে আরও অনেকবার করতে দেখবেন পাঠকরা। তবে ফেলুর গল্প যেহেতু ছোটোদের, মানে মূলত কিশোর কিশোরীদের জন্য লেখা তাই হোমসের মত বৈচিত্র্য ফেলুর গল্পে নিয়ে আসা লেখকের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
ফেলুদার গল্পের নেপথ্যকাহিনি নিয়ে সৃষ্ট প্রসেনজিত দাশগুপ্তর 'আতসকাচে ফেলুদা'
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.