রবীন্দ্র-শ্রুতিনাটক
জগন্নাথ বসু ও ঊর্মিমালা বসু সম্পাদিত
"দেশে-বিদেশে পুজো-পার্বণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শ্রুতিনাটকের চাহিদা। বেড়েছে। এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ বোধ হয়, মঞ্চ-নাটকের তুলনায় এর ঝক্কি অনেক কম। সেট-সেটিং নেই। আলোক-সম্পাতের অত কারিকুরি নেই, চরিত্রোচিত পরিচ্ছদাদি নেই, কেবল গলা দিয়ে ড্রয়িং আছে। মড্যুলেশানের মধ্য দিয়ে যা শ্রোতার মনে চলচ্ছবি নির্মাণ করে। ২৫শে বৈশাখ, ২২শে শ্রাবণ সারা বছরই কোনো না কোনো ভাবে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্র-কবিতা আবৃত্তির সঙ্গে ইদানীং সংযোজিত হচ্ছে রবীন্দ্র-কাহিনির শ্রুতিনাট্যরূপ বা রবীন্দ্রনাটকের সংক্ষিপ্ত শ্রুতিরূপ। সম্প্রতি নাগপুর বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম আমি ও উর্মিমালা, পার্থদা-গৌরীদি- আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক নিবেদন করতে। অনুষ্ঠানের পর ক'জন প্রবাসী বাঙালি আমাকে এসে বললেন : “২৫শে বৈশাখ তো এসে গেল, রবীন্দ্র-শ্রুতিনাটকের কিছু সন্ধান দিতে পারেন কি?” আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, একই অনুরোধ এসেছিল সাফ্রান্সিসকোর বাঙালিদের কাছ থেকেও। প্রায় সিলেটের সীমান্ত শহর ত্রিপুরার খোয়াই থেকেও সেই একই অনুরোধ “রবীন্দ্র-শ্রুতিনাটকের কোনো স্ক্রিপ্ট হবে, দাদা?”
বুঝলাম, গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে, এবার কিছু করতে হবে। আর এমন সময় কলেজ স্ট্রিটে আলাপ হয়ে গেল ‘লাল মাটির নিমাইবাবুর সঙ্গে। আপাদমস্তক ভদ্রলোক এই বঙ্গসন্তান প্রকাশনা জগতে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন তার বইয়ের মুদ্রণ-পারিপাট্য আর সৃজনশীল ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য। বলাই বাহুল্য, একটি ভালো কাজ সম্পূর্ণ করতে গেলে লেখক-প্রকাশকের ভাবনার মেলবন্ধন ঘটা দরকার। এক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়েছে বলেই কাজটা দ্রুত এগিয়ে গেল। নাট্যকার সমর চৌধুরী, যিনি জলপাইগুড়ি থেকে বারবার তার মূল্যবান পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা-পাশে আবদ্ধ করেছেন। অমল রায় অতখানি অসুস্থ থেকেও অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি, ‘সিদ্ধি’ গল্পের নাট্যরূপ পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বপন গাঙ্গুলী, তপতী সাহা, শিখা পাল— এঁরা প্রত্যেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন! আর মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায় রবীন্দ্রভারতীর বাংলা বিভাগের প্রধান আমাদের পরম স্নেহ ভাজন, প্রতিটি নাটকের পটভূমি লিখে এই গ্রন্থটির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন বলে মনে করি। একটি নাটক নিবেদনের আগে, যাঁরা তার গভীর তলদেশের সন্ধান করতে চান। তাঁদের জন্য মুনমুনের এই লেখা খুবই কার্যকর হবে। কোন সন্দেহ নেই।
দেবাশিস চক্রবর্তী, আমাদের প্রাক্তন ছাত্র— বহু পরিশ্রম করে এই গ্রন্থটির প্রুফ দেখে দিয়েছেন, তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিব্রত করতে চাই না। এফ.এম.-প্রেজেন্টার প্রযুক্তি সরকার, একজন নাট্যানুরাগিণী – পত্র-পত্রিকা সংগ্রহ করে শ্রুতিলিখন নিয়ে সম্পাদনার কাজে নিরন্তর সহায়তা করে গেছেন, তাকেও কৃতজ্ঞতা। আর সহায়তা করেছেন আবৃত্তিকার তুহিনা দত্ত।
সব শেষে এই নাটকগুলি দেশে, প্রবাসে, বিদেশে বার বার অভিনীত হতে থাকলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। শুভেচ্ছা রইল।"
জগন্নাথ বসু , ঊর্মিমালা বসু
সূচিপত্র
• চার অধ্যায়
• নটীর পূজা
• মালঞ্চ
• ভুল স্বর্গ
• পরানসখা
• শেষরক্ষা
• অরূপরতন
• শেষের রাত্রি
• ঘাটের কথা
• মাল্যদান
• চিন্তাশীল
• ঘরে বাইরে
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.