আয়নামহল
সুচিত্রা ভট্টাচার্য
সে প্রথযশা ভীতি। সেবিড় জীবনশিকারি। সে দিব্যজ্যোতি সিংহ। পৃথার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সে মেয়েও গেছে। কিন্তু এই বিচিন্নতার সরু সুতোর মতো ঝুলে আছে বন্ধনের আভাস। শব্দীয় নাত্মীয়- এমন কী ঘোরাঘুরির সাথে আত্মীয় যৌন সম্পর্কে লিপ্ত দিব্যজ্যোতি। এই প্রথম যুগপৎ ভালবাসাও ঘৃণা তার উপর ঝরে পড়ে। কিন্তু সে নির্বিশেষে অদ্ভুত। আপনার বন্ধনে, এমনকীত্যের ডোরেও সে বাঁধা চায় না। দিব্যজ্যোতি শুধু জীবনকে ভোগ করতে চায়। শৈবে পিতৃহারা দিব্যজ্যোতির মা তার নেটওয়ার্ক বন্ধন। যদিও সে তার মা কেউই নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণশীল নয়। বিখ্যাত মধ্যগনে যখন সেদীপ, সেই সময় চাকরি দিয়ে ছেড়ে হাওড়ার কাছে এক বিশাল-সম্পত্তির ওপর দিব্যজ্যোতি প্রক্ল তুলল দিদিমারক 'সুবর্ণলতা' প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের ভার দিল পরিচারিকা কল্পনা ও স্বামী সুখেনকে, যে কল্পনাকে রাজনৈতিক সে নির্মমভাবে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে। গরিব বাংলাদেশের হাতের কাজ শিখেছি, শিল্প কর্মের সংবাদ-বিদেশে পথ শুরু হল সুবর্ণা'। এই প্রতিষ্ঠানই দিব্যজ্যোতির স্বপ্ন-সাধনা। সব সম্পর্ক যে অবহেলায় উপেক্ষা করতেছে, সেই মানুষটিকে দেখা গেল এই স্বপ্ন-সাধনার মর্মে। কিন্তুসা সেরিব্রাল অ্যাক্টিকাল জীবনপ্রেমী দিব্যজ্যোতি পঙ্গুত্বের আবর্তে সহ ডুবে যায়। স্বপ্নে যেতে পারে তার সন্ধিনী তারা দল। এককান্তকর প্রয়াসে আবার জীবনের কাছে ফিরে আসতে চাই সে, প্রথাকে খোঁজে। কিন্তু তারপর? সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কলমে এক গভীর জীবনদর্পণ 'আয়নামহল'।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি