মেটিয়াবুরুজের নবাব
শ্রীপান্থ
নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ — ইংরেজের চক্রান্তে তিনি রাজ্যহারা। ওরা তাঁকে নির্বাসিত করেছে কলকাতায়। নবাবের নতুন ঠিকানা কলকাতার মেটিয়াবুরুজ। ওয়াজিদ আলি শাহ ইতিহাসে এক বিয়োগান্ত নাটকের দুঃখী নায়ক। কিন্তু চক্রান্ত, বিশ্বাসঘাতকতা, চরিত্রহননের নিপুণ চেষ্টা, কোনও কিছুই হত্যা করতে পারেনি ওয়াজিদ আলি শাহর সম্ভ্রান্ত, গর্বিত এবং সংবেদনশীল উদার চরিত্রকে, তাঁর শিল্পী মনকে। সুতরাং দেখতে দেখতে মেটিয়াবুরুজ পরিণত দ্বিতীয় লখনউ-এ। সেই ইমারতের পর ইমারত, সেই ইমামবাড়া মসজিদ, সেই বাগবাগিচা, সেই চিড়িয়াখানা। লখনউর মতোই গায়ক গায়িকা, নর্তক নর্তকী, কবি এবং চিত্রশিল্পীর ভিড় মেটিয়াবুরুজে। কথক। ঠুমরি। গজল। সেই নুপূর নিক্কণ, সেই সুরেলা কাব্য। ভাগীরথী তীরে সেদিন মৃদুমন্দ বইছে গোমতী তীরের সুরভিত হাওয়া। উনিশ শতকের কলকাতার সেই বিবর্ণ এবং বিস্মৃতপ্রায় অধ্যায়কেই এ বইয়ের পাতায় আশ্চর্য নৈপুণ্যের সঙ্গে ফিরিয়ে এনেছেন লেখক। তাঁর কলমের গুণে সম্পূর্ণ তথ্য নির্ভর ঐতিহাসিক আখ্যান যেন পরিণত রুদ্ধশ্বাস উপন্যাসে।
গণেশ পাইনের জাদুকরি তুলির স্পর্শে অতীত আরও মুখর হয়ে উঠেছে I
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি