বিদ্যাসাগর বঙ্গজীবনের এক প্রহেলিকা৷ উপার্জন ও ব্যয়ের যে রহস্যজাল তিনি বিস্তার করেছিলেন তা ভেদ করা বস্তুত অসম্ভব৷ দশ টাকা বেতনের ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পিতা৷ পিতামহী দুর্গা দেবী সুতো কেটে ও চরকা ঘুরিয়ে সংসার চালিয়েছেন৷ দারিদ্রের সেই অসহ দুরবস্থা সামলাতে ঠাকুরদাসকে কলকাতা আসতে হয়েছিল অল্পবয়সে৷ ভগবতী দেবীকেও মধ্যরাত পর্যন্ত চরকা কাটতে হত৷ ঈশ্বরচন্দ্র সেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান৷ কলকাতায় এসেছিলেন উচ্চশিক্ষার খোঁজে৷ কিন্তু হিন্দু কলেজে ভর্তি হলে মাসিক পাঁচ টাকা বেতন জোগতে হত৷ ঠাকুরদাসের উপার্জন ছিল মোটে দশটাকা সেই কারণে যে কলেজে পড়লে বেতন লাগবে না সেই কলেজে তাকে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেটা সংস্কৃত কলেজ৷
বিদ্যাসাগরের উপার্জনের শুরু ছাত্রজীবন থেকেই৷ আসছি সে কথায়৷ ছাত্রজীবন শেষ করে তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন৷ একসময় কর্মজীবনকে বিদায় জানিয়ে দেন৷ তখন তার উপার্জনের সূত্র ছিল বই-এর ব্যবসা৷ তার উপার্জনের ইতিহাস তাই তিন ভাগে বিভক্ত৷
(ক) ছাত্র জীবন
(খ) চাকুরি জীবন
(গ) ব্যবসা জীবন
একে একে আসা যাক সেই অধ্যায়গুলিতে...
বাকিটা জানতে সংগ্রহ করতে হবে
শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায়ের
"আয়সাগর ব্যয়সাগর বিদ্যাসাগর" বইটি।
প্রচ্ছদ : মৃণাল শীল।।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.