"লক্ষ্মীরাম বিড়বিড় করে বলল, আমাকে বিয়ে করবি? তাতেও কোনও জবাব দিল না নীল। বিয়ের দিনে সাপ যেভাবে দুজন দুজনকে পেঁচিয়ে নাচে, সেভাবেই লক্ষ্মীরামকে পেঁচিয়ে রাখল সে। শেষপর্যন্ত কাদায় মাটিতে জলে ভিজতে ভিজতে নীলমণির ঠোঁট কামড়ে ভরা বর্ষায় তার শরীরে বীজ বুনে দিল লক্ষ্মীরাম।
বর্ষার পর মাইক বাজিয়ে, বাজনা বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে গোটা গাঁয়ের লোককে হাঁড়ি হাঁড়ি মদ খাইয়ে নীলমণির বিয়ে হয়ে গেল হপন মাঝির একমাত্র ব্যাটা লক্ষ্মীরামের সঙ্গে। সবাই হাসল। সবাই খুব খুশি হল। গাঁয়ের মেয়ে গাঁয়েই থাকবে। দিনেরাতে দুইবেলা মা, বাপ, দাদা, বৌদি সবাই নীলমণির ভালোমন্দ দেখতে পারবে।"
তারপর?.... তারপর কী পরিণতি হল নীলমণি-লক্ষ্মীরামের?....
—এমনই সব বাস্তব-অভিজ্ঞতার চিত্রায়ণ আছে অহনা বিশ্বাসের 'বেগুনি ঘোড়ার সওয়ার' বইটিতে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি