ভুশুণ্ডি রামায়ণ

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন:
অনুদিত
প্রকাশক:
খসড়া প্রকাশনী

দাম:
₹275.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

ভুশুণ্ডি রামায়ণ

ভূমিকা, সারানুবাদ ও টীকা - আবীরলাল গঙ্গোপাধ্যায়

"ভগবতীপ্রসাদ সিংহ ১৯৭৫ সালে প্রথম ভুশুণ্ডরামায়ণ বা আদিরামায়ণ জনসমক্ষে আনেন। এর আগে অবধি সাধক সমাজের বাইরে এই বইয়ের কোনো প্রচার ছিল না। এর উল্লেখ সাধক কবি অগ্রদাস তাঁর রচনায় আপ্ত বাক্যের মতো উঠিয়েছেন, এই অবধি। এই রামায়ণ, পদ্যে বেঁধে প্রতিলিপির পর প্রতিলিপি হয়ে গেছে বৈষ্ণব সাধকদের মধ্যে। কেমন বৈষ্ণব? না, রাম তাঁদের পরমারাধ্য। তাঁরা সত্য বস্তুকে রাম বলে ডাকতে ভালবাসে। এমন এক সংস্কার দেখা দিচ্ছে মধ্যকালীন ভারতে।

এই রাম উপাসকেরা মধুরভাবের উপাসক। অর্থাৎ কৃষ্ণ ও রাধা যে ভাবময়তা, তাকে এরা বোঝে রামপরক করে। কৃষ্ণ বা পরমাত্মা, এখানে নাম 'রাম'। আর রাধা বা শুদ্ধ প্রেম- নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ।

 ..............................

তুলসীদাসের রামচরিতমানসের অন্যতম উপজীব্য রামায়ণ এই ভুশুশুরামায়ণ। এই ভুশুণ্ডতে রামচন্দ্রের কার্যকলাপের তিথিনক্ষত্র, দিন-ক্ষণের অনেক খুঁটিনাটি নিয়ে ভাবা হয়েছে। তুলসীদাসও রামের জন্মতিথির যে উল্লেখ করেছেন তা এই ভুশুণ্ডের সঙ্গে মিলে যায়। ভগবতীপ্রসাদ অনেক উদাহরণ রামচরিতমানস থেকে উঠিয়ে ভুশুণ্ডের শ্লোকের সাথে তুলনা করেছেন।

...................

আর এই রামায়ণের সার কী? রসস্বরূপ রাম। সেই রসস্বরূপের লীলা- রাস। তাঁকে পাবার মাধ্যম কী? তাঁর শক্তি। যা সাধকের কাছে ইচ্ছাময় হয়ে আছে। মধুরাদ্বৈতী সাধক তাই স্বেচ্ছায় শক্তিময় হয়ে যাবেন।

সেই শক্তি কেমন? প্রেমই সেই শক্তি। আমার-তোমার-এর-ওর সম্পর্কের বাইরের ভালবাসা, সার্বজনীন নিঃস্বার্থ প্রেম। সেই শক্তি তাঁর স্বভাব। তাই তাঁর প্রেম সহজ। তাই তাঁর প্রেমাশক্তি সহজা।

তিনিই সকল প্রেমের, আনন্দের উৎস। তাই সেই শক্তির নামকরণ হল- সহজানন্দিনী বা সহজা বা সহজানন্দা। সহজাত, সহজাত আনন্দ- একই কথা। কারণ এখানে যা সহজ তাই আনন্দ। পাতার রং, সহজাত। সেই পাতার বিকশিত হয়ে থাকা সে প্রকৃতির আনন্দের প্রকাশ। পরীক্ষায় দেখা, গাছে বরফের ঘনীভাবে জাত ক্রিস্টালের আকৃতি মানুষের মনোভাবের তরঙ্গের প্রকৃতির সাপেক্ষে সুশ্রী বা বিশ্রী হয়।

সাধক নিজেকে, সেই সহজ আনন্দই যাঁর স্বরূপ, সেই সহজা হয়ে যোগে পরম তত্ত্ব রামের সঙ্গে নিত্য বিহার করেন। কারণ রাম কামের বশীভূত নন। আর সহজায়, তা কাম নয়, শৃঙ্গার। কাম সৃষ্টি করায়। তা উৎসৃজনশীল শক্তি। আর এই উৎসৃজনশীল শক্তিই সবার চলে ফিরে বেড়াবার রসদ। সেইটি আছে বলে সবাই চলে বেড়াচ্ছে। কে বেড়াচ্ছে? যে ভাবছে, আমি চলে ফিরে বেড়াচ্ছি, সে। তাই অধ্যাত্ম। নিজের আমিকে কেন্দ্র করে মনন। বাকি মনন বহির্বস্তু নির্ভর। এই মনন আমি-বস্তু নির্ভর। এই সাধন কই? আমারই কাছে। আমার মনকে আমি জানতে পারি, বুদ্ধি, ইন্দ্রিয় ইত্যাদি।"

---------আলাপচারিতা : আবীরলাল গঙ্গোপাধ্যায়।

চার খন্ডে বিভক্ত এই ভুশুণ্ডিরামায়ণ বা আদি রামায়ণ এক বিস্ময়! যাঁর পূর্ব খন্ডে দেখা যায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার একাধিক লীলা শ্রীরামচন্দ্র তাঁর বাল্যলীলায় সম্পন্ন করছেন। ভারতবর্ষে যতগুলি রামায়ণের ভার্সন পাওয়া গেছে তার মধ্যে অন্যতম এটি।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.