বিষ্ণুপ্রিয়া, নেড়ানেড়ি, বৈষ্ণব তন্ত্র

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
সোমব্রত সরকার

মূল্য
₹414.00 ₹450.00 -8%
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

বিষ্ণুপ্রিয়া, নেড়ানেড়ি, বৈষ্ণব তন্ত্র 

সোমব্রত সরকার 

বাংলার বৈষ্ণবসমাজ বিভক্ত হয় চৈতন্য-তিরোভাবের পরেই। স্পষ্টত তখন প্রধান দুটো দল। একদল বৃন্দাবন নিয়ন্ত্রণের ষড় গোস্বামীদের শাস্ত্রীয় ধারা নির্ভর।

বাংলায় থেকে বৈষ্ণব গোস্বামীরা এঁদের অনুশাসনের সঙ্গে রীতিমতো সমঝোতা করছেন। বৃন্দাবনের শাস্ত্রমান্যতার কৃষ্ণতত্ত্বকে এঁরা তখন বাংলার অল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিত সাধারণজনে প্রচার করতে ব্যস্ত। এঁরা ভুলেই গেলেন চৈতন্য-আধারিত বাংলার বৈষ্ণবীয় পন্থাটি ছিলো একসময় উচ্চকোটির ধর্ম ও অর্থনীতির শোষণ-শাসন থেকে বের হওয়ার একটা পথ। চৈতন্যদেব সেখানে পরিত্রাতার ভূমিকায় দাঁড়িয়ে। সম্প্রদায়ী গরীব মানুষ সব। সংখ্যাগরিষ্ঠ অস্পৃশ্য ও নিম্নবর্গরা বৃত্তিজীবী গরীবলোক। দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতেই নাজেহাল। ব্রাহ্মণ্য শাসন, ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের একচেটিয়া অধিকার থেকে খালি বেরোতে চায় বৃহত্তর বাংলার শূদ্র জনতা। নিত্যানন্দ প্রভুই তাই ভরসা। শাস্ত্রপ্রধানের বৈষ্ণবমার্গ নিয়ে তাদের তো মাথাব্যথা নেই। তাঁরা বোঝেই না, যে তত্ত্বের কচকচি। বোঝে গোঁসাই-গুরুর উদার স্নেহ, ধর্মের সাধারণ ব্যাখ্যা- হরিনামে আত্মসমর্পণ, জীবনাচরণের শোক, সান্ত্বনা, বিপর্যয়ে ভক্ত দরিদ্র মানুষটি ত্রাণ পেতে চায় গোঁসাই ঠাকুরের সরল কথাবার্তায়। কৃষ্ণ সেখানে শাস্ত্রীয় বিধিবদ্ধতার বাইরে দাঁড়ানো। বৈষ্ণব-সন্দর্ভ নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই। গুরুর শেখানো আচরণবাদই তাদের ভরসা। গুরু তাদের বলেছেন কৃষ্ণের অবতার চৈতন্য। চৈতন্যের অবতার বীরভদ্র-বীরচন্দ্ররূপে পুনঃ গৌর অবতার। যে না দেখেছে গৌর সে দেখুক এবার।।

উক্ত অংশটি ঋতবাক সম্পাদিত সোমব্রত সরকার রচিত 'বিষ্ণুপ্রিয়া নেড়ানেড়ি বৈষ্ণবতন্ত্র' বইটি থেকে নেওয়া। 

চৈতন্যদেবের তিরোভাবের সময় হতে ফকির লালন সাঁইয়ের চলে যাওয়া। সাড়ে তিনশো বছরেরও অধিক সময়ে বৃন্দাবন ও গৌড়মণ্ডলে তাবড় তাবড় মহান্তদের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার ও প্রসারের ভেতরও বাংলাজোড়া সহজিয়া স্রোত, বৌদ্ধ নেড়ানেড়ি, তন্ত্রাচার, সুফিদের আনাগোনা।

দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে গ্রামবাংলার বাউল, ফকির, ভৈরবী, সাধু, অঘোরী, সহজিয়াদের শ্মশানে-আখড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন লেখক। আখড়াবাড়ির দেহসাধনা, কলমি পুথি নেড়েঘেটে তিনি লিখেছেন গৌণ ও মুখ্য ধর্মের টানাপোড়েনের বিচিত্র এই আখ্যান। নারী যার প্রধান কাণ্ডারী আবার নারীই পুরুষতন্ত্রের জাঁতাকলে পিষ্টা। দোর-দেওয়া বিষ্ণুপ্রিয়ার সেই কপাট ভাঙতে গিয়ে আদতে এ এক বেরিয়ে পড়া বাংলার ইতিহাস।

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি