বুদ্ধগয়া মহেঞ্জোদড়ো ও অন্যান্য
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : রজত পাল
ইতিহাসে মাস্টার্স করতে করতে কলম ধরেছিলেন রাখালদাস, যা থামেনি আমৃত্যু। একের পর এক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে প্রবাসী, ভারতী, মাসিক বসুমতী, মানসী ইত্যাদি পত্রপত্রিকায়। বুদ্ধগয়া, মহেঞ্জোদড়ো, আমেদাবাদ, সক্কর, নেমাবর জাতীয় লেখাগুলি তাঁর প্রত্নতাত্ত্বিক পদে থাকাকালীন অভিজ্ঞতায় পুষ্ট। আওরঙ্গজেবের টাকশাল, ভোজবর্মার তাম্রশাসন বা বৈশালী হল তাঁর ঐতিহাসিক প্রজ্ঞার পরিচায়ক। শুশুনিয়া বা মলয় দেশে জাতীয় লেখা ঐতিহাসিকের চোখে দেখা ভ্রমণকাহিনি। এরকমই ২০টি প্রবন্ধের সঙ্কলন নিয়ে এই গ্রন্থ। অন্যতম প্রধান প্রবন্ধ হল মহেঞ্জোদড়ো আবিষ্কারের কথা, যা ভারতের ইতিহাসের দিগন্ত উন্মোচিত করেছিল।
লেখক পরিচিতি :
শ্রী রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অবিভক্ত ভারতের বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষের জমিদারি ছিল। ইংরেজদের বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁর পরিবার সেই জমিদারি হারান। তাঁর পিতা বহরমপুর কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ইতিহাসে স্নাতক হন প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হন ইতিহাসেই। মাস্টার্স করার সময়েই তিনি কলকাতা জাদুঘরে নিযুক্ত হন এবং ১৯১০ সালে যোগ দেন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে। বিখ্যাত জন মার্শালের নিয়ন্ত্রণে বম্বে প্রেসিডেন্সীর অধীনে প্রত্নবিভাগের পশ্চিম সার্কেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট পদের দায়িত্ব পান। এই সময়েই তিনি মহেঞ্জোদড়োকে বৌদ্ধযুগের পূর্বে ভারতের প্রাচীনতম প্রত্নক্ষেত্র রূপে চিহ্নিত করেন।
পরবর্তীতে পূর্ব সার্কেলে বদলি হয়ে পাহাড়পুরে সোমপুর মহাবিহারের প্রত্নখননের নেতৃত্ব দেন। মাত্র ৪১ বছর বয়েসে ১৯২৬ সালে প্রত্নবিভাগের চাকরিতে ইস্তফা দেন এবং কিছুদিন বাদে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের অধ্যাপকরূপে যোগ দেন। বহু প্রবন্ধ ও গ্রন্থের রচয়িতা রাখালদাস মাত্র ৪৫ বছর বয়েসে অসুস্থ হয়ে আকস্মিকভাবে ইহলোক ত্যাগ করেন। মহেঞ্জোদড়ো আবিষ্কার, বাংলালিপির বিবর্তন চিহ্নিতকরণ, এবং প্রথম তথ্যভিত্তিক বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করে সমগ্র বিশ্বের কাছে ভারত তথা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন এই বরেণ্য ব্যক্তি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি