ডম্বরু
লেখক : অমৃতা ভট্টাচার্য
বিজ্ঞানের উন্নতি আর মানবজীবনের উন্নতি কি সমার্থক? শুধুমাত্র চিন্তাসূত্র আর স্মৃতির সঠিক চালনা কি সত্যিই উন্নত করতে পারে মানব-যাপন? সভ্যতার লোভ, দুর্নীতি, হিংসার অতলে ক্রমশ তলিয়ে যাওয়া প্রতিরোধের উদ্দ্যেশ্যে ‘টাইপ ওয়ান’ সভ্যতার মিশনে সামিল পদার্থবিজ্ঞানী ড. অগ্নিরূপ চ্যাটার্জি দেশে গড়ে তোলেন এক অভিনব টিম। ডরোথির সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শিবপূজার আসনে শিবের বিশালাকার ডম্বরু আঁকড়ে তিনি ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। মৃত্যুর আগে একমাত্র নাতনি কোরালের জন্য রেখে যান এক বিশেষ উপহার ও সূত্র। সেই উপহার প্রাপ্তির পথে কোরাল জীবনকে আবিষ্কার করে বিভিন্ন আশ্চর্য বাঁকে। বৌদ্ধ মঠে আশ্রিত অর্চিষ্মান বহিষ্কৃত হয়ে অগ্নিরূপের আশ্রয়ে ব্রতী হয় বিজ্ঞান সাধনায়। কিন্তু অস্তিত্বের এ কোন খোঁজ তাকে নিয়ে যায় বিপদসীমার বাইরে এক অজানা জগতে? নিজের রাস্তা কি কখনও খুঁজে পাবে অর্চি? আইপিএস অফিসার অরণ্যরাজ আর মেহেরের দাম্পত্য রাজনৈতিক হয়ে ওঠে ক্রমশ। বায়ো-কেমিস্ট ড. সুলেমান খান ও নিউরো-সায়েন্টিস্ট ড. হিমাদ্রী লাহিড়ীর মানবকল্যাণকর মিশনের পাশে তৈরি হয় এক নিষ্ঠুর পরজীবী ধ্বংসের পথ। কে গেল অন্ধকার পথে? ড. সুলেমানের ল্যাবরেটরিতে সাদা ক্রিস্টাল ডম্বরুর সঙ্গে কোরালের বাড়ির শিবমূর্তির পিছনে বিশালাকার ডম্বরুর কি সত্যিই যোগ আছে কোথাও? সেই বিশেষ কার্ডের অধিকারে ইলোরা কি ফিরে পাবে তার মূল্য? দাদুর উপহার কোন কোন সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করাল কোরালকে?