ঢাবাকা
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সচিত্র থ্রিলার "ঢাবাকা"
পরাবাস্তব এক নগরী, যেখানে অতীত আর বর্তমান হাত ধরাধরি করে চলে। বিচিত্র সব মানুষ আর বিচিত্র তাদের কাহিনি। ওদের গল্পগুলোও বিচ্ছিন্ন নয়, একটার সঙ্গে আর-একটা জড়িয়ে থাকে, সময়ের পরিক্রমায় সেগুলো জট লেগে দলা পাকিয়ে যায়। ঘটনাচক্রে এক রাতে, হাজার বছরের পুরোনো আর বিরাণ শ্মশানে সেই জট খুলতে শুরু করে, অতীতের গহ্বর থেকে উঠে আসতে থাকে অদ্ভুত সব গল্প; জিন্দা লাশের মতো ঘিরে ধরে বর্তমানকে। সুরাহা না করে তারা ফিরে যাবে না ! ঢাবাকা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের একটি নিরীক্ষাধর্মী থ্রিলার – যে লেখা এবং গল্পের সঙ্গে এর আগে তাঁর পাঠকের পরিচয় হয়নি!
ঢাবাকার আরও এক বড়ো বিশেষত্ব পাতায় পাতায় ছবি— যা পাঠকের কল্পনার বিস্তারে সহায়ক হয়ে উঠবে। মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভাবের সঙ্গে চরিত্রের প্রতিটি শরীরী ভাঁজে লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচিত হবে ঢাবাকায়।
"একটা শব্দে আর আলোয় শ্মশানটা আলোড়িত হল।
আমরা সবাই তাকালাম শ্মশানের প্রবেশপথের দিকে। একচোখা হেডলাইট বলে। দিচ্ছে ওটা কোনো বাইক নয়তো স্কুটার হবে। কাছে আসতেই দেখলাম জমকালো নকশা করা একটি বেবিট্যাক্সি ঢুকছে শ্মশানে। আর সেটা আমাদের খুব কাছে এসেই থামল। গাড়ি থেকে নামল কালচে একটি অবয়ব।
আমি জানি ওটা কে - পাণ্ডবদা।
অবাক হলাম। শ্মশানের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাহলে। আপনি ওদের সঙ্গেই এসেছেন।'
একেবারে কাছে চলে এলেন তিনি, তার ভাবলেশহীন মুখে কোনো কিছুর পরিবর্তন হল না। আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শান্ত কণ্ঠে শুধু বললেন, পিস্তলটা নামায়া রাখো ... এইসবের কোনো দরকার নাই। এবার মেয়েটার দিকে তাকালেন। 'মারামারি করারও দরকার নাই।'
আপনি করে বলছে?! এই মেয়ের সঙ্গে পাণ্ডবদার সম্পর্কটা কী?
আমি একটু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলাম, যদিও পিস্তলটা নামিয়ে ফেললাম আস্তে করে। আমার অন্তরাত্মা বলছে, এসবের কোনো দরকার নেই। আর আমার অন্তরাত্মা যখন কথা বলে, আমি সেটা শুনি। যে কয়বার শুনিনি, ঘোর বিপদে পড়েছি। গুমোট আবহাওয়া যেন বদলে গেল, শ্মশানে আবার বইতে শুরু করল মৃদুমন্দ বাতাস। এখন, এই ঢাবাকা শ্মশানে আমরা পাঁচজন মানুষ। সম্ভবত আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে একটি ঘটনায় একসূত্রে গাঁথা।
'কেউ কিছু করব না...এইখানে সব আমরা আমরাই,' পাণ্ডবদা আবারও নির্লিপ্ত
কণ্ঠে বললেন।".......
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.