দুর্গা দুর্গতিনাশিনী
স্বামী বেদানন্দ
বর্ষাশেষে শরতের শুভ্র মেঘের ছোঁয়ায় প্রকৃতির মোহময়ী রূপে বঙ্গদেশ ঝলমল করে ওঠে। তার আকাশে-বাতাসে জলে-স্থলে-ফুলে-ফলে নেমে আসে প্রকৃতির অফুরন্ত ভালোবাসার প্রসাদ। তদুপরি পুকুরের সুরভিত পদ্মে, মনমাতানো শিউলি ফুলের গন্ধে এবং কাশের শুভ্র ফুলের নৃত্যে দেবীদুর্গার আহ্বান হয় সম্পূর্ণ। এ-সময়ে বঙ্গহৃদয় মায়ের আরাধনায় মেতে ওঠে। কিন্তু আরাধনা তো তখনই সম্পূর্ণ হয় এবং ফললাভ করে যখন সেই উপাসনার সবকিছুই আমরা জেনে যাই। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন, “কারো সম্বন্ধে পূর্ণ জ্ঞান না থাকলে ভক্তি কিভাবে আসবে?” এই গ্রন্থে সে কথা মনে রেখেই জগন্মাতা মা দুর্গার উৎপত্তি, চরিতকথা সহ তাকে নিয়ে সমস্ত কিছুর খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া, মা দুর্গার আরাধনা কিভাবে করা উচিত, তাঁকে কিভাবে পূজা-অর্চনা ভোগ নিবেদন করতে হয়, তাঁর কাছে কেমনভাবে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করে প্রার্থনা করতে হয়—তাঁর পূজা, অর্চনা, স্তব-স্তুতি করলে তিনি কিভাবে মনোবাসনা পূর্ণ করেন—সবই গ্রন্থে গুছিয়ে লেখা হয়েছে। বঙ্গভূমিতে এইরকম পুস্তক আর কখনো প্রকাশ হয়েছে কিনা জানি না।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.