ফাঁস চক্র
সিদ্ধার্থ পাল
বৃষ্টিস্নাত শহরের এক কোণে দুর্ঘটনায় হত হয়েছেন দীপশিখা চ্যাটার্জি নামক গৃহবধু। তার মৃতুর পরে একমাস কেটে গেলেও বাড়িতে হানা দিচ্ছে কেউ অথচ কিছুই খোয়া যাচ্ছে না। পুলিশের সাহায্য না পেয়ে ঈগলআই প্রাইভেট ডিটেকটিভ ফার্মের শরণাপন্ন হয়েছে অংশুমান। এই ফার্মেই আছেন শর্বরী। অতীত, ভাঙা পরিবার, সম্পর্কের স্মৃতি, সব নিয়ে জর্জরিত সে। পুরুষপ্রধান জীবিকায় কর্মক্ষেত্রেও তার উপরে ভরসা করার লোকের অভাব। সেজন্যেই হয়তো সে নিমরাজি হয়েই এই আপাত ছোটোখাটো তদন্তটির দায়িত্ব নেয়। তবে সত্যিই কি ব্যাপারটা ছোটো?প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকেই অসঙ্গতি চোখে পড়ে শর্বরীর। দীপশিখার মৃত্যু কি সত্যিই দুর্ঘটনা না এক সুপরিকল্পিত অন্তর্ঘাত? গভীরে যাওয়া শুরু করতেই ঘিরে আসে রহস্যের জাল, একের পর এক খুন হতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার ঝলমলে জগতের পিছনে লুকিয়ে থাকা বিপদের কথা জানতে পারার পরেই আসে প্রচ্ছন্ন আর প্রত্যক্ষ হুমকি। ব্যক্তিগত জীবনের ঝঞ্ঝার সঙ্গে পেশার সংঘাতে বিপর্যস্ত হতে থাকে সবকিছুই। শর্বরী কি হার স্বীকার করে নেবে?না। অচেনা অদেখা শত্রুর মোকাবিলায় পিছু হটার প্রশ্নই নেই। অটল ধীশক্তি নিয়ে সুত্রের পর সুত্রের সহায়তায় সে হেঁটে যায় বিপজ্জনক জটিল পথে। ‘সিটি অফ জয়’ এর অন্ধকার হিমশীতল নির্মম রূপের মুখোমুখি হয়। শর্বরী কি পারবে দীপশিখা ও অন্যান্যদের জন্য ন্যায় ছিনিয়ে নিতে?উত্তর পাওয়া যাবে এই শ্বাসরুদ্ধকর থ্রিলার উপন্যাস, “ফাঁসচক্র”-তে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি