গোরখপুর হসপিটাল ট্র্যাজেডি: এক চিকিৎসকের কলমে ভয়াবহ বিপর্যয়ের স্মৃতিলিখন
কাফিল খান
ভাষান্তর : অসীম চট্টোপাধ্যায়
গোরখপুরের বাবা রাঘবদাস সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কেবল সেই অঞ্চলের নয়, পড়শি রাজ্যেরও আশা-ভরসার স্থল। সাধারণ মানুষ ফি বছর ভিড় করেন এনসেফেলাইটিস ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য। সর্বোপরি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কর্মভূমি। ভরসা তো থাকারই কথা। ২০১৭ সালের ১০ আগস্টে কিন্তু এমনটা হয়নি। বারংবার তাগাদা দেওয়া সত্বেও অক্সিজেন সিলিন্ডার ভেন্ডারের বকেয়া ৬৮ লক্ষ টাকা সরকার মিটিয়ে দেননি। ফলত, সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ও অন্যান্য রোগীদের বুকের পাঁজর নিঃশ্বাস নিতে না পেরে যখন হাপরের মতো ওঠানামা করছে, তখনই রোগীদের বাঁচানোর জন্য এক অতিমানবীয় চেষ্টা করেন শিক্ষক ও চিকিৎসক ডা. কাফিল খান। নিজ প্রচেষ্টায় অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করায় অনেকে বাঁচলেও ৬৩ জন শিশু ও ১৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর জীবন স্তব্ধ হয়ে যায়। মৃত্যুর দায়ে সরকার 'কর্তব্যে গাফিলতি'র অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। এই উলটপুরাণে গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে যায়। তছনছ হয়ে যায় ডা. কাফিল খানের সাংসারিক ও পেশাদারি জীবন। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে এখন 'মুক্ত' হলেও কেস চলছে। এই অসম লড়াইয়ে তাঁর বিজয় হয়তো অনেক দূরে, তবু বিশ্বাস করি... "যে শিশু সব থেকে সুন্দর/ তা আজও আমরা দেখিনি। সব থেকে সুন্দর শিশু/ আজও বেড়ে ওঠেনি। আমাদের সবথেকে সুন্দর দিনগুলো / আজও আমরা পাইনি/মধুরতম যে-কথা আমি বলতে চাই/ সে কথা আজও বলিনি"।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.