হাড়
কৌশিক দাশ
This is a story of a dark, dark time...
এই কাহিনি অন্ধকার এক সময়ের কথা বলে। একটি নিউজপেপার কাটিং লেখককে নিয়ে গিয়েছিল সেই অন্ধকার, রক্তাক্ত অতীতে। যে অতীতে ভারত থেকে হাজার হাজার নরকঙ্কাল বৈধ ভাবে রফতানি হত বিদেশে।
১৯৮৫। হারিয়ে যাচ্ছিল একের পর এক বাচ্চা। খালি হয়ে যাচ্ছিল মায়েদের কোল। কী ঘটেছিল ওই হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের ভাগ্যে?
জবাব রয়েছে ভয়ঙ্কর এক বাস্তবের উপরে ভিত্তি করে লেখা কাল্পনিক উপন্যাসে, যার নাম—হাড়!
রইল উপন্যাসের পাতা থেকে নেওয়া অংশবিশেষ...
আনন্দসংবাদ পত্রিকার নিউজরুম। কলকাতা।
সামনের রাইটিং প্যাডটার উপরে হিজিবিজি কাটছিলেন চিফ রিপোর্টার রতন গুপ্ত। টেবিলের উপরে গত কয়েক সপ্তাহের বিভিন্ন নিউজপেপারের কয়েকটি বিশেষ পাতা এদিক-ওদিক ছড়ানো। সবই জেলার খবর। কিন্তু একটু মন দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, একটা খবর সব পেপারেই রয়েছে। এবং, রয়েছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে।
ছোট ছোট বাচ্চা নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার খবর।
ঘটনাগুলো যেন বিচ্ছিন্ন নয়। একের পর এক বাচ্চা নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে। তাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত এক মাসের হিসেবে সংখ্যাটা দুই অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছে। দশ-বারোটা বাচ্চার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। আর এই ঘটনাগুলো ঘটছে ওই বারাসত-দত্তপুকুর-হাবড়া-বনগা অঞ্চলে।
মহাত্মা গান্ধী ডিসট্রিক্ট, হিউস্টন, টেক্সাস, আমেরিকা।
...ম্যালকমের দিকে তাকিয়ে স্যাট জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘ডিমান্ডটা ঠিক কত?’’
‘‘দু’হাজার পিস। মাস আটেকের মধ্যে জোগাড় করতে হবে।’’
স্যাট নীরবে তাকিয়ে রইলেন বন্ধুর দিকে। কোনও সন্দেহ নেই, কাজটা খুব চাপের।
ম্যালকম এবার তাঁর বন্ধুর হাতটা চেপে ধরলেন।
‘‘স্যাট, যে করেই হোক বাচ্চাদের কঙ্কালের সাপ্লাইটা বাড়াতেই হবে তোমাকে। ক্যালকাটায় কথা বলো। এখন যা সাপ্লাই হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি মাল লাগবে। না হলে আমরা এই কম্পিটিশনের যুগে অনেক পিছিয়ে পড়ব।’’ একটু থেমে সাত্যকির চোখের দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে ম্যালকম কর্ভেট বললেন, ‘‘আর আমি কখনও দৌড়ে পিছিয়ে পড়তে চাই না। এই মার্কেট এখন বাড়ছে। যে করে হোক মার্কেটটা আমাদের ধরতেই হবে। এই কনট্র্যাক্টটা আমাদের পেতেই হবে।’’
সাত্যকি চ্যাটার্জি তখন চিন্তায় ডুবে। গভীর চিন্তায়।
সত্যি, সাপ্লাইটা বাড়াতে হবে। বাড়াতেই হবে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি