হাসিতে রক্তের দাগ
(চল্লিশ বছর পর আবার ফিরেছে হারিয়ে যাওয়া ডিটেকটিভ বই)
লেখক - প্রবোধ সিংহ
সম্পাদনা : সৌমিত্র বিশ্বাস
প্রচ্ছদ : অর্ক চক্রবর্তী
অলংকরণ : শুভম ভট্টাচার্য
রসময়, গোকুল, জ্যোতিষ, আলোকনাথ আর নাতনির সঙ্গে বসে নিশিকান্তবাবু ভালুকনাচ দেখছিলেন। দেখতে দেখতে তিনি হাসতে শুরু করলেন এবং হাসির ধাক্কা সামলাতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গেলেন।
পরে নিশিকান্তবাবুর ছেলে দেবকান্তর সন্দেহ হল যে মৃত্যুটা হয়তো স্বাভাবিক নয়। তিনি সেক্রেটারি গোকুলকে পাঠিয়ে দিলেন গোয়েন্দাকে ডেকে আনতে। গোকুল তার বন্ধু সত্রাজিৎকে নিয়ে এল। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে নিশিকান্তবাবু যে কথাটা বলে উঠেছিলেন তার কি কোনো গুরুত্ব আছে নাকি নিছক কথার কথা? নব স্যাকরা প্রায়ই নিশিবাবুর কাছে আসত কেন? দরজা বন্ধ করে গোপনে কী আলোচনা করত? এদিকে আবার পূর্ণিমা আর অমাবস্যায় সাহেব মামার পাগলামিটা এতই বাড়ে যে তাকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়াতে হয়? এর পেছনেও কি কোনো রহস্য আছে?
লেখক পরিচিতি :
প্রবোধ কুমার সিংহের জন্ম ১৯৪২ সালে, কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উপাধি লাভ করার পরে রাজ্য সরকারের আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। নানা জেলায় নানা দায়িত্ব সামলানোর ফাঁকে ফাঁকে তিনি সাহিত্যচর্চায় মগ্ন থেকেছেন। শারদীয়া ‘নহবত’ পত্রিকা এবং আরও নানা পত্রপত্রিকাতে তাঁর একাধিক গোয়েন্দা কাহিনি প্রকাশিত হয়েছে। আবগারি বিভাগের কালেক্টার হিসেবে অবসর গ্রহণ করার পরে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মন্ত্রদীক্ষা নেন এবং আধ্যাত্মিক জগতেই বেশি মনোনিবেশ করেন।
প্রবোধবাবু একজন একনিষ্ঠ পাঠক এবং সেইসঙ্গে গোয়েন্দা সাহিত্যের একজন নিরলস গবেষকও বটে। গোয়েন্দা কাহিনির জনক এডগার অ্যালেন পো’কেই তিনি গুরু বলে মান্য করেন। দৌড়ঝাঁপ এবং অ্যাকশনে ভরা গোয়েন্দা কাহিনির চাইতে যেখানে যুক্তি এবং বুদ্ধিবিস্তার প্রক্রিয়ার প্রয়োগ আছে সেরকম কাহিনিই তাঁর পছন্দ। সেই কারণেই তাঁর গোয়েন্দা কাহিনিতেও আমরা দেখি যুক্তি এবং বুদ্ধির বিস্তার। এই গোয়েন্দা কাহিনিটিতেও পাঠকেরা তার পরিচয় পাবেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.