মৃণালিনী দাঁড়িয়ে ছিল কলেজের কাছের বাসস্টপে৷ আজ হঠাৎ কলেজ ছুটি হয়ে গেছে ৷ বাড়ির গাড়ি আসবে ঘণ্টাচারেক পরে৷ অতি রক্ষণশীল এবং ধনী পরিবারের মেয়ে৷ দেখতেও রূপসী ৷
কলেজে ঢোকার পর এই প্রথম বাসে উঠবে সে৷ তার বাড়ি যথেষ্ট কাছে, কয়েকটা মাত্র স্টপ, তবু তার বুক ঢিপঢিপ করছিল৷ তার বাসের নাম্বার টু, সেটুকু সে জানে ৷
এইসময় দূরে একটা বাস দেখা দিল৷ নাম্বার টু কি? তাহলে সোজা উঠে পড়বে, বাড়ির কাছে নেমে যাবে ৷
বাসটা যখন কাছাকাছি চলে এসেছে, একটা গলা শোনা গেল, ‘টু বি অর নট টু বি?’
ঘুরে দাঁড়াতেই সে ছেলেটিকে দেখতে পেল৷ সাধারণ শার্টপ্যান্ট পরা একুশ বাইশের তরুণ ৷
ছেলেটি এগিয়ে এল এক পা, ‘তাহলে নট টু বি৷ কোনও কোয়েশ্চেন নেই ৷ আপনার বাস শুধু নাম্বার টু৷ তাই তো?’
চোখ বন্ধ করল মৃণাল ৷…শুরু হয়ে গেল অসামান্য রোম্যান্টিক উপন্যাস ‘হায় সজনি’৷
আর সবচেয়ে বড় কথা, বরেণ্য ঔপন্যাসিকের এই অপূর্ব প্রেমকাহিনি পূর্বে কোথাও প্রকাশিত হয়নি ৷ সরাসরি পাণ্ডুলিপি থেকে চলে এল পত্রভারতীর বই হয়ে ৷