জন্মভূমি মাতৃভূমি
বাণী বসু
তাঁর প্রথম এই উপন্যাসেই বাণী বসু প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, নিছক গল্প-বানানোর জন্য তিনি কলম ধরতে আগ্রহী নন। উপন্যাসে, তিনি জানেন, কাহিনী থাকাটা জরুরী। সে-কাহিনীতে থাকা দরকার-ঘটনার টান ও গতি, চরিত্রের ক্রমোন্মোচন ও বিশ্লেষণ।
সৎকথাকার কিন্তু এখানেই থেমে থাকেন না। তিনি নিশ্চিত চান, শেষাবধি তাঁর রচনা কর্মটি অন্বিত হোক গূঢ়, গভীর কোনও সামাজিক তাৎপর্যে। বাণী বসুও তাই চেয়েছেন। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সমস্যা, বিশেষত পরবর্তী প্রজন্মের যাদের জন্মভূমি বিদেশ কিন্তু মাতৃভূমি ভারত, তাদের সমস্যাটাকে নেড়ে চেড়ে দেখাই এখানে তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু সে-দেখাটা কোনও মতেই যাতে একদেশদর্শী না-হয়ে পড়ে, সেদিকে তাঁর নজর ছিল। বিভিন্ন বয়সের কয়েকটি নারী-পুরুষের চোখ দিয়ে নানান দিক থেকে আলো ফেলে দেখেছেন তিনি। তাঁর এই সহানুভূতিরই গুণে আমেরিকা ও ভারত দু-দেশের পটভূমিতেই প্রতিটি চরিত্র হয়ে উঠেছে সজীব, সমস্যা বাস্তব, কাহিনী লক্ষ্যভেদী ও হৃদয় স্পর্শী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি