খ্যাতি অখ্যাতির নেপথ্যে
সৌরীন্দ্র মিত্র
যা কিছু অসাধারণ, তাকে ঘিরেই কিংবদন্তী গড়ে তোলার স্বভাব আমাদের। তা সে ঘটনাই হোক, কি কীর্তি। কখনও সেই কিংবদন্তী এমনই উচ্ছ্বসিত, যার প্রতাপে অসাধারণ হয়ে ওঠে অলৌকিক; কখনও আবার তা উৎসারিত এমনই ঈর্ষা-কুৎসা থেকে, যার প্রকোপে অসাধারণের প্রকৃত মহিমারও ঘটে যায় খর্বতা। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও বারবার এমন ঘটেছে। তাঁর নানান কীর্তির স্বরূপ এই দু-ধরনের কিংবদন্তীর কুয়াশাতেই আচ্ছন্ন। বিশেষত, তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ঘটনা। বহু জল্পনাকল্পনা, অপব্যাখ্যা, অপপ্রচার এবং কপট মূল্যায়ন এই অসাধারণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেদিন যেমন, আজও তেমনই। প্রতীচীতে রবীন্দ্রনাথের অভ্যুদয় এবং কবিখ্যাতির প্রসার সম্বন্ধে এখনও কোনও-কোনও মহলে শোনা যায় বহুবিধ রটনার নির্বিচার প্রতিধ্বনি। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এসব রটনার যথার্থতা যাচাই হয়নি। যাচাই অবশ্য সহজসাধ্য ছিল না। এ-কাজ করতে গেলে যেসব তথ্যের উদ্ঘাটন বিশেষভাবে জরুরি, বলা যায় অপরিহার্য, তার বহুলাংশই প্রচ্ছন্ন নেপথ্যলোকে, ইতস্তত ছড়ানো-ছিটানো। সেই সমূহ তথ্যের উদ্ধার বস্তুতই দুঃসাধ্য এক কর্ম। সেই বিপুল পরিশ্রমসাধ্য কাজটিই অতি বিরল কুশলতায় সম্পন্ন করেছেন সৌরীন্দ্র মিত্র।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি