লাস্ট ফর লাইফ
লেখক : আরভিং স্টোন
অনুবাদ : ঈশানী রায়চৌধুরী
সারা ইয়োরোপকে উত্তাল করে ১৮৭০-১৮৮০-তে শিল্পের দুনিয়ার দখলদারি নিতে এসেছিল ইম্প্রেশনিজ্ম। সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছিল কীভাবে দেখার চোখকে অন্য মাত্রায় অন্য উত্তরণে শামিল করা যায়। আর পোস্ট-ইম্প্রেশনিজমে? ঠিক এর পরের পর্যায়। আলোছায়ার খেলা আছে, কিন্তু তাতে অন্য কিছু পরিণতমনস্কতা অন্যতর মাত্রা সংযোজিত করেছে। ভ্যান গখের ছবি যেমন। লোকের চোখে আমি কী? স্রেফ একটা বাতিল জঞ্জাল, পাগল, দেখলেই বিরক্তি এসে যায়। সমাজে কোনো সম্মানজনক জায়গায় নেই। থাকবেও না কখনও। কীটস্য কীট আমি। একদিন সবাইকে দেখিয়ে দেব এই অস্থির উন্মাদ-সত্তা নিয়েও কী প্রবল মানসিক শক্তি নিয়ে বেঁচে থাকা যায়! আমি ডুবে যাই দুঃখে ব্যথায়... তবুও ভেতরের যে কী অদ্ভুত এক আলোর মতো প্রশান্তি! এই যে একের-পর-এক ক্যানভাস ভরিয়ে তুলি রঙের রামধনু
দিয়ে, কিন্তু আমি কি পারব কোনোদিনও সত্যি সত্যি একটা ঠিকঠাক ছবি আঁকতে? অস্থিরমতি ভিনসেন্টকে তার ভাই থিও বলেছিল, ‘তুমি থেকো আমার মতোই’। নিজস্বতা নিয়ে। ইম্প্রেশনিস্টদের থেকে শিখে নাও শুধু আলো আর রঙের খেলা। অন্ধ অনুকরণ করবে কেন? তুমি যে তুমিই তোমার চেতনা, স্পর্শ অনুভবের সুক্ষ্মতা ছড়িয়ে দিয়ে নিজের মতো করে। তুলির টানে পেনসিলের আঁচড়ে। তোমার ছবিতে আনে সূর্যের উজ্জ্বল বিভা, আনো আকাশের মুক্তি। ক্যানভাস ভরিয়ে দিয়ো তোমার অবরুদ্ধ আর অবদমিত যত আবেগের রঙে। আর তাই ভিনসেন্ট আঁকতে চেয়েছিল। অন্যরকম যত অনুভব। ‘লাস্ট ফর লাইফ’ উত্তরণের আলেখ্য।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.