মন্ত্র
বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 200
অল্পবয়সে পিতৃহীন উত্তরণকে ওঁর মা সমর্পণ করে আসেন জ্যোতির্ময় সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারী ঠাকুরের কাছে। ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত সত্যসেবী আশ্রমেই শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করে যৌবনে পা রাখেন উত্তরণ। ইতিমধ্যে দেহরক্ষা করেছেন ব্রহ্মচারী ঠাকুর এবং উত্তরণ জেনেছেন যে ঠাকুরের ইচ্ছা অনুযায়ী আগামীদিনে ওঁকেই ঠাকুরের মন্ত্র প্রচার এবং প্রসারে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। কিন্তু রূঢ় বাস্তবের অভিঘাতে উত্তরণ নিজেই একদিন বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন আশ্রম ছেড়ে। আশ্রয় পান যার বাড়িতে, সেই অনসূয়া কলকাতার বরানগর কিংবা আমেরিকার আটলান্টা, উত্তরণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতেই চায় শুধু। অথচ অনসূয়াও একদিন নিজের প্রাণাধিক ভালবাসার মানুষটিকে ছেড়ে চলে যায়। কথা বলতে না-পারা শিশুকন্যাকে আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টায় উত্তরণ অনুভব করেন যে তিনি ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব হতে গিয়ে জাগতিক আবর্জনায় পরিণত হয়েছেন। চরম আত্মিক সংকটের বাতাবরণে উত্তরণ খুঁজতে শুরু করেন সেই ঈশ্বরকে যিনি শোকে, তাপে জর্জরিত মানুষের বিপদে ত্রাতা হয়ে অবতীর্ণ হন। তিনি কি বিগ্রহ না কি অবতার? না কি কেবলই ছবি? উত্তরহীন প্রশ্নের পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে মানুষ এবং মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের সম্পর্কের অপরূপ উপাখ্যান মন্ত্র, এই সময়ের একটি মহৎ উপন্যাস।
লেখক পরিচিতি :
বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কলকাতায়। বাবা খ্যাতনামা সংস্কৃত পণ্ডিত, স্বর্গীয় পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়; মা গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃকুল নিঃসম্বল উদ্বাস্তু, মাতৃকুল মলুটির রাজপরিবার। প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল ম্যাগাজিনে প্রথম গল্প 'উনিশ-কুড়ি' পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস, শারদীয় 'দেশ' পত্রিকায়, ২০০৭ সালে। লিখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ। কবিতার জন্য পেয়েছেন কৃত্তিবাস পুরস্কার, বাংলা আকাদেমি শক্তি চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার, ভাষানগর পুরস্কার ইত্যাদি। গদ্যের জন্য পেয়েছেন শর্মিলা ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার। লিখতে ভালবাসেন এমন লেখা যা আমরা পড়তে চাইলেও লেখার সাহস পাই না। আইওয়া আন্তর্জাতিক লেখক শিবিরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২০১৪ সালে। ঠাকুর শ্রীশ্রী দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের শিষ্য। শখ: নতুন বই, পুরনো গান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি