মরণ নামের ফরাসি কবিতা
জয়ন্ত দেবব্রত চৌধুরী
প্রচ্ছদ - সেঁজুতি বন্দ্যোপাধ্যায়
কোনো বন্ধ্যা পাহাড়ের গর্ভে আচমকা প্রস্তর ঈশ্বরের জন্ম হয়। খনিজগন্ধময় শীতল গুহায় অকালমৃত শ্রমণের মুখের ছাপ মিশে থাকে। এলোমেলো শুয়ে থাকা গৌণ দেবতার অর্ধভুক্ত শবের ওপর রুগ্ন শ্যাওলা জাগে, জাগে অনিন্দ্যসুন্দর ঘাতকের ফুল। পাললিক স্তরে প্রাচীন পোকার মতো মৃত্যু জমাট বাঁধলে প্রায়ান্ধ গন্ধগোকুল তা চেটে চেটে খায়, তার শূন্য উদরে মোমবাতির আলোয় মাকড়সার ছায়ার মাপের একদলা কোঁচকানো অন্ধকার ঢুকে পড়ে। বিশ হাতের চৈত্য জুড়ে তিরবিদ্ধ রাজহংসের মতো অবিরাম দাপাদাপি করে পৃথুলা অপ্সরা, জোনাকির আলো, স্বর্গভ্রষ্ট এক দেবদূত, গোটাকতক চামচিকে, আর বিষণ্ণ বামনের দল। তথাগতের মূর্তির পায়ের কাছে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকে ধূলিময় শিকারি বেড়াল, তার অধিকার পেতে মিথুনবদ্ধ হয়ে আমৃত্যু লড়ে যায় উদ্ধত দুই দুধগোখরো; দেবদত্ত ও সুজাতা। গৌতম স্মিত হাসেন, বাম হাত তুলে বরাভয় দেখান বারবার। তবু সদ্যোমৃতের হাসির মতো ফ্যাকাশে চাঁদের আলোয় আবছা রাষ্ট্রকূট বিবরে রক্তের দাগ ক্রমশ জমা হতে থাকে। আর হাজার মাইল দূরে শূন্যসিঁথি এক বাঙালি মহিলা তখনই-ঠিক তক্ষুনি ভোররাতের ঘুম ভেঙে আচমকা খাটে উঠে বসে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.