ময়ূরাক্ষী
হুমায়ূন আহমেদ
বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ঔপন্যাসিকের জনপ্রিয় একটি চরিত্র হিমু। হিমু ভবঘুরে, হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে খালি পায়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায় রাতের অন্ধকারে, পথে পথে। তাকে চোর-জোচ্চর মনে করে। পুলিশ, এমনকি থাপ্পড়ও মারে, কিন্তু পরের দিনই ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেয়। হিমু নির্মোহ, আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের সাহায্যে, তার কাজকর্ম ব্যাখ্যা করা যাবে না। একালের এক অগ্রগণ্য কবি একবার লিখেছিলেন, তিনি যতদূরেই যান তাঁর সঙ্গে চলে কোনো এক নদীর নাম। হিমুও যেন নিজের মধ্যে বহে নিয়ে চলে এক অসামান্য নদী, নাম তার ময়ূরাক্ষী। সে নদীর সঙ্গে প্রবাহিত হয় মীরা, মজিদ রূপা রিনকি বাদল এবং আরও অনেকে। হিমু চায় তার ভালোবাসার সকলেই যেন নদীটিকে নিজের করে পায়। বহতা জীবনের নানা আলোছায়ায় হিমুর ময়ূরাক্ষী পাঠকের অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠে অত্যন্ত সহজে। হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব উপন্যাসই আকারে ছোটো। ময়ূরাক্ষী’র স্বল্প পরিসরে ফুটে উঠেছে। আবহমান বাংলারই এক সংহত রূপ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.