ময়নামতীর নথ
হিমাদ্রী কিশোর দাশগুপ্ত
ইতিহাস বন্দিত এক দুঃসাহসী নাবিক শৃঙ্খলিত অবস্থায় চলেছে তার শেষ বিচারের আশায়। কিন্তু কী তার অপরাধ? কোন মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে শিশুদের বলি দেন জৈন্তাপুরের রানি ইরাবতী? সত্যিই কি ইতিহাসের সেই দুর্ধর্ষ শাসকের কবরে লেখা কথাগুলো নির্ধারণ করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য? শতাব্দী প্রাচীন সব অনুশাসনকে ভেঙে রানি কেন ছুটে গেলেন নাচঘরে? এক মলাটে আধারিত চার-চারটি রোমহর্ষক ঐতিহাসিক আখ্যান!
----------------
ইতিহাস বন্দিত দুঃসাহসী এক নাবিক, যে একদিন সমুদ্র অভিযানে বেরিয়েছিল নতুন দেশের খোঁজে। আজ সে জাহাজের খোলে বন্দি। তাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিচারের জন্য। হয়তো তার জন্য কোনও ভয়ংকর শাস্তি অপেক্ষা করছে। যে শাস্তি ঘোষণা করবেন এক নারী। কিন্তু কেন? -নারী, সমুদ্র, নাবিক।
সিলেটের ছোট্ট রাজ্য জৈন্তাপুর। রানি ইরাবতী তার শাসনকর্ত্রী। তিনি নাকি প্রতিবছর বলি দেন একজন বালককে! কিন্তু কী তাঁর মনস্কামনা? রক্তের দাগ।
বিশ্বত্রাস সম্রাটের কবরে লেখা ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করতে চাননি রাশিয়ার কমিউনিস্টরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত কি টলে গেছিল তাদের অবিশ্বাস? ইতিহাসের পাতায় লেখা অমীমাংসিত রহস্যময় ঘটনা জাগিও না আমায় জাগিও না।
পরিখা আর কাঁটাগাছে ঘেরা দুর্ভেদ্য রাজবাড়ি ময়নাগড়। নারীদের জীবন সেখানে কঠিন অনুশাসনে বাঁধা। অন্দরমহল থেকে বারমহলে যাবার অধিকারও নেই তাদের। একদিন ময়নাগড়ের নাচঘরে এসে উপস্থিত হল এক বাইজি। রাজা তার নাম দিলেন ময়নামতী। ময়নাগড়ের লোককথা আধারিত এক করুণরসের কাহিনি- ময়নামতীর নথ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি