মধুময় তামরস খন্ড-৩
সমীরণ দাস
প্রচ্ছদ পার্থপ্রতিম দাস
বিদ্যাসাগরের চোখে জল। মধুর একটা হাত তিনি জোরে আঁকড়ে ধরে আছেন। মধু বলেন, আমার মৃতদেহের সৎকার নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। সকলকে স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমি মনুষ্য নির্মিত কোনো গির্জার সংস্রব গ্রাহ্য করি না। কারও সাহায্যেরও প্রয়োজন নেই। আমি আমার স্রষ্টার কাছে ফিরে যাচ্ছি। তিনিই আমাকে তাঁর সর্বোত্তম বিশ্রামাগারে স্থান দেবেন। ওরা আমাকে যেখানে খুশি সমাধিস্থ করতে পারে, শুধু অনুরোধ- আমার মৃতদেহ যেন বিড়ম্বিত না হয়। কবরের ওপর যেন সাবলীলভাবে গজাতে পারে সবুজ ঘাস। পরদিন পুত্র-কন্যার হাতে হাত রেখে চলে গেলেন মধুসূদন।
বিদ্যাসাগর খবর পেয়ে বন্ধুদের পাঠিয়ে দিলেন মহাকবির শবযাত্রায়। নিজে গেলেন না। বললেন, আপ্রাণ চেষ্টা করেও যার জীবন রক্ষা করতে পারিনি, তার কয়েকটা হাড় রক্ষা করার কোনো অভিপ্রায় আমার নেই।
লেখক পরিচিতি :
জন্ম ১০ জানুয়ারি ১৯৫৩। একটি অত্যন্ত সাধারণ পরিবারে। কিন্তু স্কুলজীবন থেকেই ছিল লেখক হওয়ার স্বপ্ন। নানা প্রতিকূলতায় বিভিন্ন সময়ে তিনি লেখা ছাড়তে বাধ্য হলেও লেখা তাঁকে ছাড়েনি। প্রথম গল্প 'ফুলি বাউরি কথা' প্রকাশিত হয়েছিল 'আজকাল' পত্রিকায়। তারপর লেখা প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। অতঃপর প্রায় দশ বছরের বিরতি। লেখার আঙ্গিক পালটে ফের আত্মপ্রকাশ প্রতিক্ষণ পত্রিকায়। গল্পের নাম 'হাঁটা'। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ছয়।
বর্তমান উপন্যাস 'মধুময় তামরস'লেখার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন প্রায় দশটি বছর। ধরতে চেয়েছেন স্রোতের বিপরীতে চলতে থাকা প্রতিবাদী মধুকবিকে পূর্ণ মহিমায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি