শতরঞ্জ কা খিলাড়ি মনে আছে?
নাম শুনেছেন মেটিয়াবুরজের?
আওয়াধি বিরিয়ানির কথা শুনলে রসনা নেচে ওঠে?
‘মেটিয়াবুরজ' হল মাটির কেল্লা। সিপাহী বিদ্রোহের ঠিক এক বছর আগে সেখানে এলেন অবধের রাজা ওয়াজিদ আলি শাহ। ভারতের এই শেষ রাজার জীবন মহাকাব্যের নায়কের মতো নানা বর্ণে রঞ্জিত।তবে প্রশ্ন হলো যে তিনি কেন এখানে এলেন? রাজমুকুট হারিয়ে কেন কলকাতার উপকন্ঠে, সে এক রূপকথার কিসসা। থিয়েটার, নাচ, গান আর বাজনায় উনবিংশ শতকের কলকাতা মাতিয়ে দিলেন নির্বাসিত বাদশা।
বিশেষজ্ঞ এই রাজা রচনা করেছেন ধ্রুপদী সঙ্গীতের ইতিহাস, বানিয়েছেন পঞ্জিকা, গড়ে তুলেছেন অজস্র ইমারত, চিড়িয়াখানা, পরিখানা, ছাপাখানা, বাজার আর ইমামবাড়া। একের পর এক ঝড় এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে। কিন্তু রাজা ওয়াজিদ আলি অটল থেকেছেন নির্বাসনে অতিবাহিত জীবনেও। তাঁর এই উচ্চশির জীবন ঊনবিংশ শতকের বাঙালি জীবনকেও নানা মাত্রায় প্রভাবিত করেছিল। তাই শামিম আহমেদের এই লেখনীর মধ্য দিয়ে সমগ্র পাঠকসমাজ ওয়াজিদ আলি শাহ'র জীবনী বিষয়ক এক অজানা দিক সম্পর্কে যে অবগত হবে সেকথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
বই - আখতারনামা
লেখক - শামিম আহমেদ