“টুক্ করে একটা শব্দ। এটা খুব কাছে।
লোকটি ত্বরিতে মুখ ফিরিয়ে সামনের দিকে চাইল। পাঁচিল টপকে কেউ বাগানে লাফিয়ে পড়েছে কি? অন্ধকারে কিছুই বোঝা গেল না এরপর। কিছু অস্ফুট আওয়াজ, নারীকণ্ঠে একটা চাপা আর্তনাদ শুরু হয়েই থেমে যাওয়া, জামাকাপড়ের খসখস, শুকনো পাতায় পা দিয়ে কেউ দৌড়ে গেল, একটা ইঁটের টুকরো বা নুড়িপাথর কিছু একটা ছিটকে পড়ল পাঁচিলে লেগে।
মেঘটা এই সময়ই সরে যেতে শুরু করল। পাঁচিলের উপর দাঁড়ানো একটা অবয়বকে এক মুহূর্তের জন্য দেখা গেল, পরক্ষণেই সে লাফ দিয়ে পড়ল বাইরের দিকে।
এখন মেঘটা পুরোপুরি সরে গেছে। এবার চাঁদের আলোয় ধুয়ে যাচ্ছে বাগান।
একজন পুরুষমানুষ মাটিতে পড়ে আছে। তার মাথা থেকে এখনও তরল চুঁইয়ে পড়ছে ঘাসের উপর।
চাঁদের আলোয় সেই তরলের লাল রং কালো দেখাচ্ছে— কুচকুচে কালো।”
পারিবারিক কাপড়ের ব্যবসা নিজের চেষ্টায় বাড়িয়ে এসপ্ল্যানেডে দোকানের মালিক হয়ে বসেছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ। আশ্রিত-পরিজন-কর্মচারী নিয়ে তাঁর নিশ্চিন্ত জীবনে যখন ছায়া ফেলছে বাংলার কাঁচামালের বাজারে লাগা বিশ্বযুদ্ধের আগুনের আঁচ এবং ভারতের ক্রমবর্ধমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিদেশী-দ্রব্য-সংহার-মূর্তি; তখনই আরেক মারাত্মক বিপদ হানা দিতে শুরু করল তাঁর ঘরে। রাত্রে জানলায় উঁকি থেকে প্রাণনাশের চেষ্টা অবধি— কে এই কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা আততায়ী?
মুখোশের আড়ালে
অনুষ্টুপ শেঠ
প্রচ্ছদ: অর্ক চক্রবর্তী
অলঙ্করণ: সুমিত রায়
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.