নতুন আলো 

সৌম্য ভট্টাচার্য 

প্রথমশ শতক ফুরিয়ে বিশক যখন আমাদের কাছে কড়া নাড়ল, বাংলায় তখন শুরু হয়েছে এক নতুন আলোড়ন তথ্য জাগরিতি-ইংরেজি যা 'বাংলারনেসাঁসাঁস' উল্লেখ করেছেন। এমন এক সম্পর্বের বাংলাদেশের সুবৃহত্ এমন এই প্রেক্ষাপট। জগদী চন্দ্র বসুর দিগদর্শী গবেষণায় সিদ্ধির পথ বাধা দাঁড়াচ্ছে অর্থাভাব, অসহযোগিতা এবং ঈর্ষা। রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় সাহচরে শান্তিনিকেতনে সম্পূর্ণ তুলছেন ব্রহ্মচর্যাশ্রম। অরবিন্দ ঘোষেশিকতার সাধনায় মগ্ন। প্রফুল্ল চন্দ্র রায়হান স্বদেশী অনুমোদন, বেঙ্গল কেম বাংলা গানে ফুল ফোটান দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ এবং রজনীকান্ত। সরলা ঘোষণা লিপ্ত হতে বিচিত্র কর্মকাণ্ডে। জামশেদজি টাটা স্বপ্ন দেখেছেন দেখেছেন ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স তৈরির। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বুয়ার যুদ্ধে গঠন করছেন অ্যাম্বুলেন্স কর্পস। ভারতেশ্বরী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু। নতুন গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন বসতে পরিবর্তন দিল্লিতে। পেলিগে এবং দুর্ভিক্ষে মরছে দেশের লোক। সন্ন্যাসিনী নিবেদিতা অধ্যাত্ম, শিল্পভাবনা, স্বদেশচেতনা, বৈনিক গবেষণা, বিপ্লবী আন্দোলন সব কিছুর মধ্যে অক্লান্ত শ্রম ও তীক্ষ্ণ মনীষা নিয়ে উপস্থিত। আর কখনও দূর থেকে, কখনও কাছে থেকে, এই ঐতিহাসিক সময়কে প্রত্যক্ষ করছে বা প্রেমাঙ্কুর আতর্থী। আখ্যানমোচনে, বহু স্বরের কলতানে এই নেতাকে মনে করা হয়- উত্থানে চায় ধ্রুপদি পাশ্চাত্য। সিম্ফীর আদলে এক মহা ঐকতান।