লোকে বলে SDF। সরকারি নাম নবদিগন্ত। কলকাতা মহানগরীর পূর্ব প্রান্তে দিগন্ত বিস্তৃত এক লবণাক্ত জলাভূমিতে গড়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সেইসব সফটওয়্যার কারখানায় চাকরি শুরু করে। তারপর “কেরিয়ার” নামের অদৃশ্য সাপ-লুডো খেলায় খেলতে নেমে তারা কেমন থাকে? পদোন্নতির সিঁড়ি বেয়ে তারা কোথায় একটা যেন পৌঁছতে চায়। এদিকে চাকরির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে জীবনের দিকে ফিরে তাকানোর সময় নেই। দিবারাত্র নিজেদের নিংড়ে দেবার পরে অন্য কোনো সত্তা যে আদৌ বেঁচে আছে, সেটাও বুঝতে পারে না। তবু ভালোবাসা আসে। প্রেম, প্রিয়জন, পরিবার, সবাই অপেক্ষা করে। পৃথিবীর বহুজাতিক ধনকুবের কোম্পানীগুলো সারা পৃথিবী ছেঁচে তাদের “উন্নত” মস্তিষ্কগুলোকে অঢেল অর্থ দিয়ে কিনে নিয়েছে। অর্থ আর স্বাচ্ছন্দ্যের লোভে আমাদের নবীন প্রজন্মের সোনার ছেলেমেয়েরা কি দিনের পর দিন নিজেদের বিক্রি করে চলেছে? নিজেদের স্বপ্ন, আশা, চাওয়া-পাওয়া সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে সেই মুনাফা তৈরির কারখানার এক একটি নাটবল্টু হয়ে বেঁচে থাকাটাই হয়তো এ যুগে সাফল্যের মাপকাঠি। কে জানে!
লেখক পরিচিতি ঃ
১৯৬৯ সালে জন্ম। ছোটোবেলা কেটেছে আসানসোলের কাছে রূপনারায়ণপুর শহরে। ১৯৯৪ থেকে কলকাতায়। লেখালিখি শুরু কলেজে পড়ার সময় থেকে। সক্রিয় ছাত্রজীবন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত। তারপর দুই দশকেরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ার কর্মজীবন। গল্প, কবিতা আর উপন্যাস লেখার সিনেমা দেখতে ভালো লাগে। মানুষ দেখার ঝোঁকে বেরিয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকে সবসময়। বিপন্ন সমাজ, মানুষ আর তাদের জীবনই সঞ্জয়ের মুক্তচিন্তার কলমকে জাগিয়ে রাখে। এইটি নিয়ে সঞ্জয়ের দু'টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত বইঃ
নবদিগন্তের অভিমন্যুরা (উপন্যাস ২০২০)
স্ফুলিঙ্গ (উপন্যাস ২০২৪)
গল্প সংকলন (২০১৮)